পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যতীন্দ্র-সস্বৰ্দ্ধনা তোমাদের অনুষ্ঠানটি ছোট ;–হ’বেই তো ছোট। কিন্তু তাই বলে’ তার দামটি ছোট নয়। এ তো ট্যাটুর দিয়ে বহুলোক ডেকে এনে উচ্চ কোলাহলে "জয়, যতীন বাগচী কী জয়!” বলার ব্যাপার নয়, এ তোমাদের ছোট্ট রস-চক্রের প্রতি-সন্মিলন। অর্থাৎ, কোন একটি বিশেষ দিনে ও বিশেষ স্থানে জন কয়েক সত্যিকার সাহিত্য-রসিক ও সাহিত্য-সেবী এক সঙ্গে মিলে’ আর একজন সত্যিকার সাহিত্য-সেবককে সাদরে আহবান করে’ এনে বলা—”কবি, আমরা তোমার সাহিতা-সাধনায় আনন্দ লাভ করেচি, তোমার বাণীপূজা সার্থক হয়েছে,—তুমি স্বর্থী হও, তুমি দীর্ঘায়ু হও, আমরা তোমাকে সৰ্ব্বাস্ত:করণে ধন্যবাদ দিই,—তুমি আমাদের অভিনন্দন গ্রহণ কর ।” এই তো ? আয়োজন সামান্ত বলে’ তোমরা ক্ষুঃ হোয়ে না। কিন্তু তবুও সম্মিলনে একটুখানি ক্রটি ঘটলে,—আমি যেতে পারলাম না। কারণ আমি বোধ করি তোমাদের সকলের চেয়ে বয়সে বড়। : এ অঞ্চলটায় ব্যারাম স্যারাম নেই, কিন্তু হঠাৎ কোথা থেকে হতভাগ্য ডেঙ এসে জুটেচে। সকাল থেকে ছোট ছেলেমেয়ে ছটার চোক ছল ছল করচে, চাকর জন দুই ছাড়া সবাই বিছানা নিয়েছে, আমার এক নাক বন্ধ, অন্যটায় টিউব-ওয়েলের লীলা সুরু হয়েছে, রাত্রি নাগাদ বোধ হয় দেহ-মন-প্রাণ উৎসবে যোগ দিবেন আভাস ইসারায় তার খবর পৌছোচ্চে। নইলে এ অনুষ্ঠানে আমার নামে তোমাকে গর-হাজিরির ঢ্যারা টানতে দিতাম না । অনেকে উপস্থিত আছে, এই সুযোগে একটা দুঃখের অমুখেtগ জানাই। কালিদাস, তুমিও তো প্রায় সাবালক হ’তে চললে। আগেকার দিনের সকল কথা তোমার স্মরণ না থাকলেও কিছু কিছু হয়তো Ꮌ8Ꮌ