সাহিত্য চলছে, গালি-গালাজ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের অবধি নেই—তার ভাষাও ঘুেমন নিষ্ঠুর, অধ্যবসায়ও তেমনি দুৰ্দ্দাম। কিন্তু কবি নীরব। আমি উত্ত্যক্ত হ’য়ে একদিন অভিযোগ করায় শান্তকণ্ঠে বলেছিলেন—উপায় কি ! যে অস্ত্র নিয়ে ওরা লড়াই করে, সে অস্ত্র স্পর্শ করাও যে আমার চলে না। আর একদিন এমনিই কি একটা কথার উত্তরে বলেছিলেন—াকে মুখ্যাতি করতে পারিনে, তার নিন্দে করতেও আমার লজ্জা বোধ হয় । তার কাছে অনেক কিছু শিখেছি—কিন্তু সব চেয়ে বড় এ দুটি আর ভুলিনি। আজ জীবনের পঞ্চান্ন বছর পার করে দিয়ে সকৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি যে আমি ঠকিনি। বরঞ্চ নিজের অজ্ঞাতসারে লাভের অঙ্কে অনেক জমা পড়েছে। মানুষের শ্রদ্ধ পেয়েছি, ভালবাসা পেয়েছি। বস্তুতঃ এই ত কালচার,—নইলে এর কি আর কোন মানে আছে ? ভাষার দখল আমার যেটুকু আছে—হয়তো একটু আছেও—তাকে কি শেষকালে এই দুৰ্গতির মধ্যে টেনে নামাব ? এবার তোমার সাহিত্যের সম্বন্ধে বড় প্রশ্নটার উত্তর দিই । তুমি সসঙ্কোচে প্রশ্ন করেছে, "অনেকে বলচেন আপনি শেষ প্রশ্নে’ বিশেষ একটা মতবাদ প্রচার করবার চেষ্টা করেছেন,—একি সত্যি ?” সত্যি কিনা আমি বলবো না । কিন্তু ‘প্রচার করলে, প্রচার করলে—দুয়ো দুয়ো’ বলে রব তুলে দিলেই যারা লজ্জায় অধোবদন হয়, এবং না না বলে’ তারস্বরে প্রতিবাদ করতে থাকে আমি তাদের দলে নই। অথচ উণ্টে যদি আমিই জিজ্ঞাসা করি এতে অত বড় অপরাধটা হ’লো কিসে, আমার বিশ্বাস বাদী-প্রতিবাদী কেউ তার স্বনিশ্চিত জবাব দিতে পারবে না। তখন একপক্ষ বে-বুরের Ꮌ8Ꮼ
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।