পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ বলেন, কিন্তু এই এসিয়ার এমন দেশও ত আজও আছে মেয়েদের স্বাধীনতা যারা এক তিল দেয় নি, অথচ তাদের স্বাধীনতাও ত কেউ অপহরণ করেনি। অপহরণ করবেই এমন কথা আমিও বলিনি। তবুও আমি এ কথা বলি, স্বাধীনতা যে আজও আছে সে কেবল নিতান্তই দৈবাতের বলে। এই দৈববলের অভাবে যদি কখনও এ বস্তু যায়, ত আমাদেরই মত কেবল মাত্র দেশের পুরুষের দল কাধ দিয়ে এ মহাভার স্বচ্যগ্রও নড়াতে পারবে না। শুধু আপাতদৃষ্টিতে এই সত্যের ব্যত্যয় দেখি ব্ৰহ্মদেশে । আজ সে দেশ পরাধীন। একদিন সে দেশে নারীর স্বাধীনতার অবধি ছিল না। কিন্তু যে দিন থেকে পুরুষে এই স্বাধীনতার মর্য্যাদা লঙ্ঘন করতে আরম্ভ করেছিল, সেই দিন থেকে, একদিকে যেমন নিজেরাও অকৰ্ম্মণ্য, বিলাসী এবং হীন হ’তে মুরু করেছিল, অন্যদিকে তেমনি নারীর মধ্যেও স্বেচ্ছাচারিতার আরম্ভ হ’য়েছিল। আর সেই দিন থেকেই দেশের অধঃপতনের সূচনা । আমি এদের অনেক সহর, অনেক গ্রাম, অনেক পল্লী অনেকদিন ধরে’ ঘুরে বেড়িয়েছি, আমি দেখতে পেয়েছি তাদের অনেক গেছে কিন্তু একটা বড় জিনিষ আজও তার হারায়নি। কেবল মাত্র নারীর সতীত্বটাকে একটা ফেটিস করে তুলে তাদের স্বাধীনতা তাদের ভাল হ’বার পথটাকে কণ্টকাকীর্ণ করে তোলেনি। তাই আজও দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, আজও দেশের ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম, আজও দেশের আচার ব্যবহার মেয়েদের হাতে । আজও তাদের মেয়ের একশতের মধ্যে নব্বই জন লিখতে পড়তে জানে, এবং তাই আজও তাদের দেশ থেকে আমাদের এই হতভাগ্য দেশের মত আনন্দ জিনিষটা একেবারে নির্বাসিত হ’য়ে যায় নি। আজু তাদের সমস্ত দেশ অজ্ঞতা, জড়তা ও মোহের আবরণে আচ্ছন্ন হয়ে >br