শিক্ষার বিরোগ্র এতদিন এদেশে শিক্ষার ধারা একটা নিৰ্ব্বিন্ধ নিরুপদ্রব পথে চলে’ আসছিল। সেটা ভাল কি মন্দ এ বিষয়ে কারও কোন উদ্বেগ ছিল না। আমার বাবা যা পড়ে গেছেন, তা? আমিও পড়ব । এর থেকে তিনি যখন দু’পয়সা করে গেছেন, সাহেব-স্থবোর দরবারে চেয়ারে বতে পেয়েছেন, হাণ্ডশেক করতে পেয়েছেন, তখন আমিই বা কেন না পারবো? মোটামুটি এই ছিল দেশের চিন্তার পদ্ধতি। হঠাৎ একটা ভীষণ ঝড় এল। কিছুদিন ধরে সমস্ত শিক্ষাবিধানটাই বনিয়াদ সমেত এমনি টল্মল্ করতে লাগল যে, একদল বললেন পড়ে যাবে। অন্যদল সভয়ে মাথা নেড়ে বলেন, না, ভয় নেই—পড়বে না। পড়লও না। এই নিয়ে প্রতিপক্ষকে তারা কটু কথায় জর্জরিত করে দিলেন। তার হেতু ছিল। মানুষের শক্তি যত কমে আসে মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে ওঠে। বাইরে গাল তার ঢের দিলেন, কিন্তু অন্তরে ভরসা বিশেষ পেলেন না। ভয় তাদের মনের মধ্যেই রয়ে গেল, দৈবাং বাতাসে যদি আবার কোনদিন ' জোর ধরে ত এই গোড়ী-হেলা নড়বড়ে অতিকাটা হুমুড়ি খেয়ে পড়তে মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব করবে না। २२
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।