পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষার বিরোধ এম্নি যখন অবস্থা তখন শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিলেত থেকে ফিরে এলেন, এবং পূর্ব ও পশ্চিমের শিক্ষার মিলন সম্বন্ধে উপযুপিরি কয়েকটা বক্তৃতায় তার মতামত ব্যক্ত করলেন । রবীন্দ্রনাথ আমার গুরুতুল্য পূজনীয়। স্বতরাং মতভেদ থাকলেও প্রকাশ করা কঠিন। কেবলি ভয় হয় পাছে অজ্ঞাতসারে তার সম্মানে কোথাও লেশমাত্র আঘাত করে’ বসি । কিন্তু এতো কেবলমাত্র ব্যক্তিগত মতামতের আলোচনা নয়,—য র্তারও বহু পূজ্য,—সেই দেশের সঙ্গে এ বিজড়িত। তার কথা নিয়ে কয়েকটা Anglo-Indian কাগজ একেবারে উল্লসিত হ’য়ে উঠেছে। থেকে থেকে তাদের প্যাচালো উপদেশের আর বিরাম নেই। আর কিছু না হোক, দেশের হিতাকাজক্ষায় এদের যখন বুক ফার্টুতে থাকে তখনি ভয় হয়, ভেতরে কোথাও একটা বড় রকমের গলদ আছে। বিশেষ করে’ বাঙ্গালী পরিচালিত একখান। Anglo-Indian কাগজ । এর মুখের ত আর কামাই নেই। নিজের বুদ্ধি দিয়ে কবির কথাগুলো বিকৃত, বিধ্বস্ত করে অবিশ্রাম বলছে—আমরা বলে বলে গলা ভেঙ্গে ফেলছি, ফল হয়নি,—এখন রবিবাবু এসে রক্ষে করে দিলেন। যথা— “And if there were any among educated Bengalees, who were wavering and vacillating, knowing not what to do, to exclude the West or to stick to the East Rabindranath's recent Calcutta lectures have gone a great way towards making up their minds. They have given up their sitting-on-the-fence posture. They have jumped off on the Western side". ২৩