শিক্ষার বিরোধ কোনটাই মিথ্যে নয়, কিন্তু এও আমার কাছে তুচ্ছ মনে হয়, যখন ভাবি পশ্চিম ও পূর্বের শিক্ষার সংঘর্ষ ঠিক কোনখানে ? এদের সত্য মিলনের যথার্থ অন্তরায় কোথায় ? একি কেবল গোটাকতক সাজ গোজ বদলালেই হবে ? টেবিল চেয়ারের বদলে লম্বা লম্বা মাদুর পেতে, ইলেক্টিক ফ্যানের পরিবর্তে তালপাখা এনে, কিম্বা মোট মাইনের প্রফেসারের বদলে রোগ মাইনের দিশী অধ্যাপক আমদানি করে কিম্ব বড় জোর বিদেশী ভাষার মিডিয়মের স্থানে স্বদেশী ভাষায় লেকৃচারের আইন করলেই দুঃখ দূর হবে 江/ $38, কিছুতেই যুচবে না, যতক্ষণ না সেই শিক্ষার ব্যবস্থা_করা যায়, য’তেদেশের বহিমুখী বীতশ্রদ্ধ মন-আর-একবার-অস্তমুখী ও আত্মস্থ_হয়L মুনের মিলনই-বা-কি আর শিক্ষার_মিলনই বা কি, সে কেবল হতে পারে সমানে-সমানে_শ্রদ্বার-সুন্ন প্রমুন। এমন কাজলের মত, ভিক্ষুকের মত কিছুতেই হবে না ! হ’লেও সে শুধু একটা গোজামিল হবে,—তাতে কল্যাণ নেই, গৌরব নেই, দেশকে সে কেবল হীনতা ও লাঞ্ছনাই দেবে, কোন দিন মনুষ্যত্ব দেবে না । আমার এসব কথার কথা নয়,—উদ্দীপনাপূর্ণ স্বদেশী লেক্চার নয়,—সত্য সত্যই যা আমি সত্য বলে’ বুঝেছি তাই কেবল আপনাদের কাছে বলছি। মানুষের এক প্রকার শিক্ষা আছে, যা কেবল নিছক ব্যক্তিগত মুখ ও সুবিধার খাতিরে মানুষে অর্জন করতে চায়। যে mentality থেকে আমাদের এদেশে কেউ কেউ ইংরিজী ভাষাট সাহেবের গলায় বলাটাকেই চরম উন্নতি জ্ঞান করে, এবং এই mentalityরই এক ধাপ নীচের লোকগুলো জাহাজে এবং রেলগাড়ীতে সাহেবি পোষাক ছাড়া কিছুতেই বেড়াতে চায় না। w©ፃ
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।