পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ এবং এই জিনিষটা এত ইতর, এত ক্ষুদ্র যে, এ কেন হয়, এর কি উদ্দেশ্য এ বিষয় আলোচনা করতেও ঘৃণা বোধ হয় । কিন্তু আমি নিশ্চয় জানি এই ছদ্মবেশের হীনতা, এই আপনার কাছ থেকে আপনাকে লুকোবার পাপ, এবং গভীর লাঞ্ছনা আপনারা অনায়াসেই উপলব্ধি করতে পারবেন। এবং প্রসঙ্গক্রমে এ কথা কেন যে উত্থাপিত করলাম তাও বুঝতে আপনাদের বাকী থাকবে না । এইখানে জাপানের কথা স্মরণ করে কেউ কেউ বলতে পারেন, এই যদি সত্য, তবে জাপান আজ এমন হ’লো কিসের জোরে ? তার চল্লিশ পঞ্চাশ বছর আগেকার ইতিহাসটা একবার ভেবে দেখ ! ভেবে আমি দেখেছি। পশ্চিমের শুক্রাচার্য্যের শিষ্যত্বের জোরেই যদি সে আজ বড় হ’য়ে থাকে, তবে বড়ত্বটাও মেপে দেখেছি আমরা শুক্রাচার্য্যেরই মাপ কাঠি দিয়ে। কিন্তু মানবত্ব বিকাশের সেই কি শেষ মানদণ্ড ? জাতীয় জীবনে এই দু’শো পাচশো বছরের ঘটনাই কি তার চরম ইতিহাস ? আমি জাপানের ইতিহাস জানিনে । তার কি ছিল এবং কি হয়েছে এ বিষয়ে আমি অনভিজ্ঞ, কিন্তু এই তার পার্থিব উন্নতির মূলে, পশ্চিমের সভ্যতার পদতলে যদি তার আত্মসমর্পণের স্বচনাই করে থাকে, ত তারস্বরে আনন্দধ্বনি করবার বোধ হয় বেশী কারণ নেই। এবং এমনি দুৰ্দ্দিন যদি কখনো ভারতের ভাগ্যে ঘটে,—সে তার বিগত জীবনের সমস্ত tradition বিস্মৃত হ’য়ে ঠিক অতথানি উন্নত হয়েই ওঠে, এক কালো চামড়া ছাড়া পশ্চিমের সঙ্গে তার কোন প্রভেদই না থাকে, ত ভারতের ভাগ্য-বিধাতা উপরে বসে সে দিন হাসবেন কি নিজের চুল ছিড়বেন বলা কঠিন। Ψίy"