শিক্ষার বিরোধ কোন বড় জিনিষই কখনো নিজের অতীতের প্রতি বীতশ্রদ্ধ । হয়ে, নিজের শক্তির প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে হয় না—হবার যো-ই নেই। তাদের যে বিদ্যাটার প্রতি আমাদের এত লোভ, তা তাদের মাথায় হাত বুলিয়েই শিখে নিই, বা পায়ে তেল মাখিয়েই অর্জন করি—এর ফল অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী যদি না সে দেশের প্রতিভার ভিতর থেকে স্বই হয়ে ওঠে, এর মূল যদি না জাতির অতীতের মৰ্ম্মস্থল বিদীর্ণ করে এসে থাকে। এই ফুল সমেত বৃক্ষশাখা, তা সে বর্ণে ও গন্ধে যত দামীই হোক, একদিন শুথোবেই শুখোবে, কোন কৌশলই তাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না । এই সত্যটা আজ আমাদের একান্তই বোঝবার দিন এসেচে যে, ঠকিয়ে-মজিয়েই হোক্ বা কেড়ে-বিকৃড়েই হোক, নানা দেশ থেকে টেনে এনে জমা করাটাই দেশের সম্পদ নয়। যথার্থ সম্পদ দেশের প্রয়োজনের মধ্যে থেকেই গড়ে ওঠে। তার অতিরিক্ত যা সে শুধুই ভার, নিছক আবর্জন পরের দেখে আমরাও যেন ওই ঐশ্বৰ্য্যের প্রতি লুব্ধ হয়ে না উঠি। আমাদের জ্ঞান, আমাদের অতীত আমাদের এই শিক্ষাই দিয়েছিল, আজ অপরের শিক্ষার মোহে যদি নিজের শিক্ষাকে হেয় মনে করে থাকি ত সে পরম দুর্ভাগ্য। ঐ যে ট্রাম, ঐ যে মোটর পথের উপর দিয়ে বায়ুবেগে ছুটেছে, ঐ যে ঘরে ঘরে electric পাখা ঘুচে, ঐ যে সহরের আলোর মালার আদি অস্ত নেই, ঐ যে শত সহস্র বিদেশী সভ্যতার তোড়-জোড় বিদেশ থেকে বয়ে এনে জমা করেচি, ওর কোনটাই কি আমাদের যথার্থ সম্পদ ? বিগত যুদ্ধের দিনের মত আবার যদি কোন দিন ওর రిసె
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।