পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বদেশ হতেও পারে। কিন্তু যে লোক শুধু মারণ উচ্চাটন বিদ্যে শিখে মন্ত্র জপতে স্বরু করেছে, তার কোনটা সত্য আর কোনটা শয়তানী নির্ণয় করা কঠিন । কবি আমাদের মুখে একটা কথা গুজে দিয়ে বলেছেন,— “ঐ কথাটাই ত আমরা বার বার বলছি। ভেদবুদ্ধিটা যাদের (অর্থাৎ পশ্চিমের) এত উগ্র, বিশ্বটাকে তাল পাকিয়ে এক এক গ্রাসে গেলবার জন্তে বাদের লোভ এত বড় ই করেচে, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন কারবার চলতে পারে না, কেননা ওরা আধ্যাক্সিক নয়, আমরা আধ্যাক্সিক । ওরা অবিদ্যাকেই মানে আমরা বিদ্যাকে, এমন অবস্থায় ওদের সমস্ত শিক্ষণ দীক্ষণ বিশেষ মত পরিহার করা চাই।” এমন কথা যদি কেউ বলেও থাকে ত খুব বেশী অন্যায় করেছে STTF NTA ST zT 1 Physics, Chemistry হিন্দু কি ম্লেচ্ছ এ কথা কেউ বলে না। বিদ্যার জাত নেই এ কথা সত্য, কিন্তু তাই বলে’ Culture জিনিষটারও জাত নেই এ কথা কিছুতেই সত্য নয়। এবং ওদের শিক্ষা যদি কেউ বিষের মত পরিহারের ব্যবস্থাই দিয়ে থাকে, ত সে কেবল এই জন্যেই, বিদ্যার জন্যে নয়। আর এই যদি ঠিক হয় যে, তারা কেবল অবিদ্যাকেই মানে এবং আমরা মানি বিদ্যাকে, তা’ হ’লে এ দুটোর সমন্বয়ের উপায় বইয়ের মধ্যে, প্রবন্ধের মধ্যে শ্লোক তুলে তুলে হ’তেও পারে, কিন্তু একটাকে আর একটার গিলে না খেয়ে বাস্তব জগতে যে কি ভাবে সমন্বয় হ’তে পারে আমি জানিনে। যাদের গেলবার মত বড় হঁ৷ আছে তারা গিল্বেই—মমু বা উপনিষদের দোহাই মানবে না। অন্ততঃ এতকাল যে মানেনি সে ঠিক । পশ্চিমের এত বড় লঙ্কাকাণ্ডের পরেও যে আজ সেই ল্যাজটার ওপরে মোড়কে মোড়কে সন্ধি-পত্রের স্নেহসিক্ত কাগজ জড়ান চলছে, এবং এত মারের পরেও যে তার নাড়ী বেশ তাজা আছে তা’তে আশ্চর্য্য 8