শিক্ষার বিরোধ হবার আছে কি ? এই মহাযুদ্ধ যারা যথার্থ বাধিয়েছিল তাদের দ্বপক্ষই চমৎকার সুস্থ দেহে ও বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে। যারা মরবার তারা মরেছে। এবং ফের যদি আবশ্যক হয় তাদেরই আবার মরবার জন্যে জড়ো করা হবে । স্বতরাং এদের মধ্যে আজ যদি কেউ শোকাকুল চিত্তে কবিকে প্রশ্ন করে থাকে, ভারতের বাণী কই ? তা’ হ’লে সন্দেহ হয় তারা কিঞ্চিৎ রসিকতা করছে! এবং এই জন্যেই তাদের নিমন্ত্রণ করে ঘরে ডেকে এনে নিভৃতে ‘মা গৃধঃ’ মন্ত্র দিয়ে বশ করা যাবে,—এ ভরসা কবির থাকলেও আমার নেই। কারণ বাঘের কাণে বিষ্ণু-মন্ত্ৰ ফুকল্লে বৈষ্ণব হয় কি না আমি ভেবে পাইনে । আরও একটা কথা। পশ্চিমের সভ্যতার একটা মস্ত মূলমন্ত্র ইচ্ছে standard of living Tg Hi I "TUTTH c7-f5 Tā नोउिज़ সঙ্গে এর পার্থক্য আলোচনা করবার স্থান আমার নেই কিন্তু ওদের সমাজ-নীতির যেমন interpretationই দেওয়া যাক তার আসল কথা হচ্ছে ধনী হওয়া । ওদের সামাজিক ব্যবস্থা, ওদের সভ্যতা ওদের ধনবিজ্ঞান,—এর সঙ্গে যার সামান্ত পরিচয়ও আছে এ সত্য সে অস্বীকার করবে না। (এ ধনী হওয়ার অর্থ ত কেবল সংগ্রহ করাই নয়! সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীকেও তেমনি ধনহীন করে তোলাও এর অন্য উদেশ্ব। নইলে, শুধু নিজে ধনী হওয়ার কোন মানেই থাকে না ! সুতরাং কোন একটা সমস্ত মহাদেশ যদি কেবল ধনী হ’তেই চায় ত অন্যান্য দেশগুলোকে সে ঠিক সেই পরিমাণে দরিদ্র না করেই পারে না। তবু এই একটা কথা নিত্য নিয়ত মনে রাখলে দুরূহ সমস্তার আপনি মীমাংসা হয়ে যায়। এই তার মেদ-মজ্জাগত সংস্কার, , এই 8vo,
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।