পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতিকথা ইহাদের প্রতি দীর্ঘকাল ধরিয়া হিন্দুসমাজ কত অত্যাচার করিতেছে, তাহাই এক একটা করিয়া বলিতে লাগিলেন। কহিলেন, বেচারাদের ধোপা-নাপিত নেই, ঘরানীরা ঘর ছেয়ে দেয়না। অথচ এরাই মুসলমান, খৃষ্টান হয়ে গেলে আবার তারাই এসে এদের কাজ করে। অর্থাৎ হিন্দুরাই প্রকারাস্তরে বলছে, হিন্দুর চেয়ে মুসলমান, খৃষ্টানই বড়। এরকম senseless সমাজ মরূবে না ত মরূবে কে ? এই বলিয়া বহুক্ষণ স্থির থাকিয় সহসা প্রশ্ন করিলেন, আপনি আমাদের অহিংস-অসহযোগ বিশ্বাস করেন ত ? বলিলাম, না। অহিংস সহিংস কোন অসহযোগেই আমার বিশ্বাস নেই। দেশবন্ধু সহাস্তে কহিলেন, অর্থাং আমাদের মধ্যে দেখছি, কোথাও লেশমাত্র মতভেদ নেই। e আমি প্রত্যুত্তরে কহিলাম, একদিন কিন্তু যথার্থই লেশমাত্র মতভেদ থাকবে না, আমি এই আশাতেই আছি। ইতিমধ্যে যতটুকু শক্তি, আপনার কাজ করে দিই। আর শুধু মত নিয়েই বা হ’বে কি, বসন্ত মজুমদারু, শ্ৰীশ চট্টোপাধ্যায় এরা ত দেশের বড় কৰ্ম্মী, কিন্তু ইংরাজের প্রতি বসন্তর বিমূর্ণিত রক্তচক্ষুর অহিংস দৃষ্টিপাত এবং শ্রশের প্রেমসিক্ত বিদ্বেষবিহীন মেঘগর্জন,—এই দু’টি বস্তু দেখলে এবং শুনলে আপনারও সন্দেহ থাকবে না যে, মহাত্মাজীর পরে অহিংস অসহযোগ যদি কোথাও স্থিতি লাভ করে থাকে, ত এই দু'টি বন্ধুর চিত্তে। অথচ, এত বেশী কাজই বা কয় জনে করেছে ? অসহযোগ আন্দোলনের সার্থকথা ত গণসাধারণ, অর্থাং massএর জন্ত ? কিন্তু এই mass পদার্থটির প্রতি আমার অতিরিক্ত শ্রদ্ধা নেই। একদিনের উত্তেজনায় Go?