পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৷৹

সাহিত্য রচনার আদর্শ সম্বন্ধে আলোচনা করেন, বোধকরি এ জন্যই তাঁহাকে বিভিন্ন স্থানে বারবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করিতে হইয়াছে। প্রবন্ধগুলি পড়িবার সময় কাল ও পরিস্থিতি বিস্মৃত হইলে চলিবে না।

“সাহিত্যে আর্ট ও দুর্নীতি” প্রবন্ধটি পড়িবার পূৰ্ব্বে ১৩৩৪ শ্রাবণ সংখ্যা ‘বিচিত্রা’য় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের “সাহিত্য ধৰ্ম্ম” ও তাহার প্রতিবাদে এবং ভাদ্র সংখ্যায় শ্রীযুক্ত নরেশচন্দ্র সেনগুপ্তের 'সাহিত্য ধর্ম্মের সীমানা’ শীর্ষক প্রবন্ধ দুইটি পড়িলে ভাল হয়।

পরিশেষে আর একটি কথা না বলিয়া আমার বক্তব্য শেষ করিতে পারিতেছি না। পূর্ব্বেই বলিয়াছি আমার শক্তি অল্প, যোগ্যতা আরও অল্প। সুসাহিত্যিক শ্রীযুক্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য্য, শ্রীযুক্ত পঞ্চানন চট্টোপাধ্যায়, সুপ্রসিদ্ধ কথা-সাহিত্যিক শ্রীযুক্ত ফণীন্দ্রনাথ পাল, শ্রীযুক্ত মণীন্দ্রনাথ রায়, সাহিত্য-পরিষৎ গ্রন্থালয় ও চৈতন্য লাইব্রেরীর সহায়তা না পাইলে সমস্ত প্রবন্ধগুলি সংগ্রহ ও প্রকাশ করা আমাদ্বারা কতদূর সম্ভব হইত ঠিক বলিতে পারি না। বিশেষ ভাবে বন্ধুবর শ্রীযুক্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য্য স্বেচ্ছায় এবং অক্লান্তভাবে প্রবন্ধ সংগ্ৰহ হইতে আরম্ভ করিয়া শেষ পর্য্যন্ত সকল কাজে আন্তরিকভাবে সাহায্য না করিলে আমাদ্ধারা এ কাজ সম্পূর্ণ অসম্ভব হইত। শরৎচন্দ্রের চল্লিশ বছর বয়সের দুপ্রাপ্য ছবিখানিও তাঁহারই নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছি। ‘বিচিত্রা' সম্পাদক শ্রীযুক্ত উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম পৃষ্ঠার সুদৃশ্য ব্লকটি ছাপিতে দিয়া বিশেষ অনুগ্রহ করিয়াছেন। মৌখিক ধন্যবাদ দিয়া আমি ইহাদের দানের অমৰ্য্যাদা করিতে চাই না। পুস্তকখানার সহিত চিরকাল ইহাদের সহৃদয়তার কথা আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করিব।

নিবেদক— ৩১শে ভাদ্র, ১৩৩৯ শ্রদীনেশচন্দ্ৰ বৰ্ম্মণ।