ভবিষ্যৎ বল সাহিত্য আমি বক্ত নই। কিছু বলতে আমি আদপেই পারিনে। ঘরে বসে কাগজ কলম নিয়ে লেখা এক ব্যাপার, আর বাইরে দাড়িয়ে বল আর এক ব্যাপার। আপনারা আমার বই পড়ে সবাই প্রশংসা কচ্ছেন, অথচ কিছুদিন থেকে লেখা আমি একমত ছেড়ে দিয়েছি। সাহিত্য সেবাকেই জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা বলে মনে করতে পারচিনে। আমার নিজের কথা ছাড়াও সমস্ত দেশের সাহিত্যে কত অসত্য, কত পন্ধুতা এসে পড়েছে। সমাজের সঙ্গে মিলে মিশে এক হয়ে তার ভিতরের বাসন কামনার আভাস দেওয়াই সাহিত্য। ভাবে, কাজে, চিন্তায় মুক্তি এনে দেওয়াই ত সাহিত্যের কাজ। সাহিত্য যদি বাস্তবিক মুক্তির ব্যাপাৱ হয়, তবে আমাদের সাহিত্য একেবারেই পদু। আমাদের সাহিত্যে নতুন জিনিষ দেবার যে নেই। ইউরোপের কথা ধরুন। ওদের Church আছে, Navy আছে, Army আছে । ওদের অবাধ মেলামেশা আছে, আনন্দ আছে। আমাদের এদিক্ যাবার যে নেই, ওদিক যাবার যে নেই, কোনদিকে একটু নড়চড় হয়েছে কি সব গোলমাল হয়ে যাবে! তারই মধ্যে যে একটু আধটু পারে সে আমাদের নিত্যকার বৈচিত্র্যহীন সংসার ও সমাজের কথা নিয়ে নাড়াচাড়া করে। \)%
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।