পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিষ্য । গুরু । গুরু-শিষ্য সংবাদ সম্যক অনুভব করিয়া ধন্য হইয়াছি বলিয়াই এত শীঘ্ৰ তোমাকে এমন জলের মত বুঝাইয়া দিলাম। এখন তোমার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতেছি, অবহিত হও । কি প্রশ্ন করিয়াছিলে ? ত্যাগানন্দ কি ? এটিও আনন্দ-স্বরূপ বৎস। পাইলেই আমাদের আনন্দ হয়, ইহা স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু সেই পাওয়া যেমন-তেমন করিয়া পাইলেই ত চলিবে না। সে পাওয়া নিষ্ফল পাওয়া, সে পাওয়া পাওয়াই নয়,—অতএব ত্যাগের দ্বারা পাইবার চেষ্টা করিবে । প্রভু, ঠিক হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিলাম না। ত্যাগের দ্বারা কি করিয়া পাইব ? ত্যাগ করিলেইত হাত ছাড়া হইয়া যাইবে । বৎস, ভুল বুঝিতেছ। তোমাকে ত্যাগ করিতে বলিতেছি না, ত্যাগের দ্বারা পাইতে বলিতেছি। অর্থাৎ পাচ জনে ত্যাগ করিতে থাকিলে সম্ভবতঃ তোমার যে প্রাপ্তি ঘটবে, সেই যে ত্যাগের পাওয়া, সেই যে বড় দুঃখের পাওয়া, তাহাকে বিশ্বপতির দান বলিয়া হৃদয়ে সাত্বিকভাবে বরণ করিয়া লইলেই তোমার ত্যাগানন্দ জন্মিবে। আহা, সে কি আনন্দ রে! (ক্ষণকাল মুদিত চক্ষে মৌন থাকিয়া পুনরায় ) বৎস, আমার এই যে ‘আমি’ট,–শাস্ত্র যাকে “অহং’ বলে’, ‘অহমিকা" বলে’, ত্যাগ করত: পরিবর্জন করিতে আদেশ দিয়াছেন, আমার সেই “আমিটার মত সৰ্ব্বনেশে বস্তু সংসারে নাই। এই ‘আমিটাকে পাচ জনের মধ্যে, বিশ্বমানবের মধ্যে ডুবাইয় দিবে। তখন, তোমার আর আত্ম-পর ভেদ থাকিবে না, পাচ জনকে আর আলাদা করিয়া দেখিবে না। তখন, তাহাদের ዓኃ