সাহিত্য লাগেনি,—পণ্ডিত র্যারা, তারা ভারি ভারি কেতাব থেকে শক্ত শক্ত অকাট্য নজির তুলে সপ্রমাণ করেছেন যে, বাঙ্গল ভাষার আমি একেবারে সর্বনাশ করে" দিয়েছি। এত সত্বর এত বড় ছুষ্কাৰ্য্য কি করে কোরলাম তাও আমি বিদিত নই, কি-ইবা এর কৈফিয়ং সেও আমার সম্পূর্ণ অপরিজ্ঞাত। স্বতরাং তথ্যপূর্ণ গভীর গবেষণার লেশমাত্ৰও অামার কাছে আপনার আশা করবেন না। বাদ-প্রতিবাদে লিপ্ত হওয়া আমার স্বভাব নয়, আত্মপক্ষ সমর্থন করবার মত শক্তি বা উদ্যম কোনটাই আমার নেই, আমি শুধু আমার স্বল্পপরিসর সাহিত্যিক জীবনের পরিণতির গোটাকয়েক সাদা মাট কথাই আপনাদের কাছে বলতে পারি। হয়ত বলার একটু প্রয়োজনও আছে। জবাবদিহির স্বরূপে নয়, কারণ পূৰ্ব্বেই বলেছি এ আমি করিনে, করার আবশ্বকতাও মনে করিনে,—এ কেবল একজন আধুনিক সাহিত্য-সেবকের নিতান্তই নিজের কথাটাই বলতে চাই। পরলোকের ব্যাপার আমি জানিনে, কিন্তু ইহলোকের মানবের জীবনযাত্রা পথের যতদূরে দৃষ্টি চলে, দেখা যায়, বিশ্ব-মানব একটা বস্তু লক্ষ্য করে’ নিরস্তর চলেছে—তার তিনটে অংশ—art, morality এবং ধৰ্ম্ম,—religion. সংসারের সমস্ত মারামারি কাটাকাটি, একের রাজ্য অপরের কেড়ে নেওয়া, একজনের দুঃখের উপার্জন আন্তজনের ঠকিয়ে নেওয়া,—সৰ্ব্ববিধ কাম ক্রোধ লোভ মোহ–এর পথের জঞ্জাল, চলার কাটা,—কিন্তু মানবের যে বৃহত্তর প্রাণ তার লক্ষ্য শুধু ওইখানে । মাড়বারি তার কাপড়ের দোকানে বসে একথা শুনলে হাসবে, বার্ড কোম্পানির বড় সাহেব তার অফিসের টেবিলে এ সত্য উপলব্ধি °C-5 °irazā ai, stock-exchangeta: ভিড়ের মধ্যে এ কথা Գ8
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।