পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও নীতি একেবারে মিথ্যে বলে মনে হবে, তবুও আমি জানি তাদেরও শেষগতি ওইখানে এবং এর চেরে বড় সত্যও আর নেই। কিসের জন্তে এত লোভ, এত মোহ ? কিসের জন্তে এই বাদ-বিসম্বাদ ? কিসের জন্তে এমন ঐশ্বর্ষ্যের কামনা ? সত্যকার যা ঐশ্বৰ্য্য সে চিরদিনই মানুষের । নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত। মানুষ একাকী তাকে অর্জন করে, সঞ্চয় করে, কিন্তু যে মুহূর্বে সে ঐশ্বর্ঘ্য হয়ে দাড়া সেই মুহূর্তেই সে তার একমাত্র আপন ভোগের বাইরে গিয়ে পড়ে। ঐশ্বৰ্য্যকে একাকী ভোগ করবার চেষ্টা করলেই সে আপনাকে আপনি ব্যর্থ করে দেয়। যা সৰ্ব্বমানবের। একার লোভ সেখানে পরাভূত হ’বেই হবে। আর এই ঐশ্বর্ঘ্যের চরম পরিণতি কোথায় ? স্বন্দর এবং মঙ্গলের সাধনায়,—art, morality এবং ধৰ্ম্মে । এ একলার নয়, এ ঐশ্বৰ্য্য বিশ্বমানবের জেনে এবং না জেনে, মামুষের চেষ্টা মানুষের উদ্যম এই ঐশ্বৰ্য্য আহরণের দিকেই অবিশ্রাম চলেছেঅতএব, যা অস্বন্দর, যা immoral, যা’ অকল্যাণ, কিছুতেই তা" art নয়, ধৰ্ম্ম নয়। Art for art's sake কথাটা যদি সত্য হয়, তা’ হ’লে কিছুতেই তা" immoral এবং অকল্যাণকর হতে পারে না ; এবং অকল্যাণকর “RR immoral of art for art's sake কথাটাও কিছুতে সত্য নয় ; শত সহস্ৰ লোকে তুমুল শব্দ করে’ বললেও সত্য নয়। মানব জাতির মধ্যে যে বড় প্রাণটা আছে সে একে কোন মতেই গ্রহণ করে না। স্বতরাং, সত্যকার কবি বলে', যথার্থ artist বলে’ যাকে এক হাতে গ্রহণ করব তার স্বষ্টিকে অষ্ঠায় বলে’, কুৎসিত বলে’ অন্য হাতে বর্জন করা হতেই পারে না। বরঞ্চ । চালাবার চেষ্টা করলেই সবচেয়ে বড় ভুল এবং বড় অন্যায়ই করা হয়। ጭ :