সাহিত্য · করে বলেছেন, “তুমি ঠাকুরাণী বুদ্ধিমতী না ? বুদ্ধিবলে তোমার পিতার জমিদারী শাসন করিতে পারিলে, আর তুমিই কিনা তোমার বাল্যস্থা পরপুরুষ রমেশকে ভালবাসিয়া ফেলিলে ? এই তোমার বুদ্ধি ? ছিঃ " এ ধিক্কার artএর নয়, এ ধিক্কার সমাজের, এ ধিক্কার নীতির অমুশাসন । এদের মানদণ্ড এক নয়, বর্ণে বর্ণে ছত্রে ছত্রে এক করার প্রয়াসের মধ্যেই যত গলদ, যত বিরোধের উৎপত্তি। শ্ৰীযুক্ত যতীন্দ্রবাবুর সামাজিক ধিক্কার art এর রাজ্যে কতখানি মহামারী উপস্থিত করতে পারে তার আর একটা দৃষ্টান্ত দিই। আমার পরম শ্রদ্ধাস্পদ বন্ধু একজন প্রবীন সাহিত্যিকের একটি ছোট গল্প আছে, তার plotটা অত্যন্ত সংক্ষেপে এইরূপ,— নায়ক একজন বড়লোক জমিদার । Hero, অতএব, হৃদয় প্রশস্ত, প্রাণ উচ্চ, নৈতিক বুদ্ধি অতিশয় সুহ্ম। কলকাতায় তার একটা মস্ত বড় বাড়ী আছে; ভাড়া খাটে, দাম প্রায় লাখো টাকা । এক তারিখে বাড়ীটা মাসখানেকের জন্তে একজন ভাড়া নিলে । বাড়ীওয়ালা জমিদার ত পাশের বাড়ীতেই থাকেন, হঠাৎ একদিন রাত্রে তিনি ওই বাড়ীটার ভেতর থেকে একজন স্ত্রীলোকের কান্নার শব্দ শুনতে পেলেন। দিন দুই পরে অনুসন্ধানে জানা গেল, বাড়ীটার । মধ্যে ভ্রণহত্যা হয়েছে। কিন্তু ভাড়াটেরা বাড়ীভাড়া না দিয়েই পালিয়েছে। তাদের ঠিকানা জানা নেই; পাপের দণ্ড দেওয়া অসম্ভব, তাই তিনি হুকুম দিলেন, বাড়ীটা ভেঙেচুরে মাঠ করে দাও। পাচ সাত দিনের মধ্যে অতবড় লাখো টাকার বাড়ী ভেঙে মাঠ হয়ে গেল। গল্প এইখানেই সমাপ্ত হ’ল । প্রেসিডেন্সি কলেজের একজন Englishএর প্রবীণ অধ্যাপক এই গল্প পাঠ করে সাশ্রনেত্রে বারবার Ես o
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।