সাহিত্য । মাস কয়েক পূৰ্ব্বে পূজ্যপাদ রবীন্দ্রনাথ আমাকে বলেছিলেন, এবারে যদি তোমার লক্ষেী সাহিত্য-সম্মিলনে যাওয়া হয়, ত অভিভাষণের বদলে তুমি একটা গল্প লিখে নিয়ে যেও। অভিভাষণের পরিবর্তে গল্প ! আমি একটু বিস্মিত হয়ে কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি শুধু উত্তর দিয়েছিলেন, সে ঢের ভাল । এর অধিক আর কিছু তিনি বলেননি। এতদিন বংসরের পর বৎসর যে সাহিত্য-সম্মিলন হয়ে আসছে, হয় তার অভিভাষণগুলির প্রতি র্তার আগ্রহ নাই, না হয়, আমার যা’ কাজ, সেই আমার পক্ষে ভাল, এই কথাই র্তার মনের মধ্যে ছিল । একবার ভেবেছিলাম, লক্ষে যখন যাওয়াই হ’ল না, তখন যেখানে যাচ্ছি সেখানেই তার আদেশ পালন করব । কিন্তু নানা কারণে সে ইচ্ছা কর্য্যে পরিণত করতে পারলাম না। কিন্তু আজ এই অত্যন্ত অকিঞ্চিৎকর লেখা পড়তে উঠে আমার কেবলই মনে হচ্ছে, সেই আমার ঢের ভাল ছিল । একজন সাধারণ সাহিতা-সেবকের পক্ষে এত বড় সভার মাঝপানে দাড়িয়ে সাহিত্যের ভাল মন্দ বিচার করতে যাওয়ার মত বিড়ম্বন আর নেই । বঙ্গসাহিত্যের অনেকগুলি বিভাগ,-—দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস - , সেই সেই বিভাগীয় সভাপতিদের পাণ্ডিত্য অসাধারণ, বুদ্ধি তীক্ষ এবং মার্জিত ; র্তাদের কাছে আপনারা অনেক নব নব রহস্যের সন্ধান পাবেন, কিন্তু আমি সামান্য একজন গল্প লেখক । গল্প লেখার সম্বন্ধেই দু’একটা কথা বলতে পারি, কিন্তু সাহিত্যের দরবারে তার কতটুকুই বা মূল্য ! কিন্তু সেটুকু মূল্য ও আনি আপনাদের নিৰ্বিচারে দিতে বলিনে, কোন দিন বলিনি, আজও বল্ব না। এ শুধু আমার br8
পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।