পাতা:স্বদেশ ও সাহিত্য-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য লাঞ্ছনাটাই জীবনে তার একমাত্র এবং সবটুকু নয়, অনাগতের মধ্যে তারও দিন আছে ; হউক সে শত বর্ষ পরে, কিন্তু সে দিনের ব্যাকুল, ব্যথিত নর-নারী শত লক্ষ হাত বাড়িয়ে আজকের দেওয়া তার সমস্ত কালি মুছে দেবে। শাস্ত্রবাক্যের মধ্যাদা হানি করা আমার উদ্বেগু নয়, প্রচলিত সামাজিক বিধি-নিষেধের সমালোচনা করবার জন্যও আমি দাড়াইনি। আমি শুধু এই কথাটাই স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, শত কোটি বর্ষের প্রাচীন পৃথিবী আজও তেমনি বেগেই ধেয়ে চলেছে, মানব-মানবীর যাত্রা-পথের সীম আজও তেমনই সুদূরে । তার শেষ পরিণতির মূর্ব তেমনই অনিশ্চিত, তেমনই অজান। শুধুই কি কেবল তার কৰ্ত্তব্য ও চিন্তার ধারাই চিরদিনের মত শেষ হ’য়ে গেছে ? বিচিত্র ও নব নব অবস্থার মাঝ দিয়ে তাকে অহনিশি যেতে হ’বে,— তার কত রকমের মুখ, কত রকমের আশা-আকাঙ্ক্ষা,-থামবার ঘুে - নেই, চলতেই হবে,—শুধু কি তার নিজের চলার উপরেই কোন কর্তৃত্ব থাকবে না ? কোন স্থার অতীতে তাকে সেই অধিকার হতে চিরদিনের জন্ত বঞ্চিত কর। হ’য়ে গেছে । যার বিগত, যার সুপ দুঃপের বাহিরে, এ দুনিয়ার দেনা-পাওন। শোধ দিয়ে যারা লোকান্তরে গেছেন, তাদের ইচ্ছ, তাদেরই চিন্তা, তাদের নির্দিষ্ট পথের সঙ্কেতই কি এত বড় ? আর র্যার। জীবিত, ব্যথায় বেদনায় হৃদয় র্যাদের জর্জরিত, তাদের আশা, তাদের কামনা কি কিছুই নয় ? মুতের ইচ্ছাই কি চিরদিন জীবিতের পথরোধ করে থাকবে ? তরুণ-সাহিত্য ত শুধু এই কথাটাই বলতে চায় ! তাদের চিন্তা, ভাব আজ অসঙ্গত, এমন কি, অন্যায় বলেও ঠেকতে পারে, কিন্তু তার। ন। বললে বলবে কে ? মানবের সুগভীর বাসন, নর-নারীর একান্ত Ե-Ե