পাতা:স্বদেশ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@切ア স্বদেশ কোনো নূতন শক্তি আসিয়া তাহাকে বলদান বা তাহার স্থান অধিকার করিল না । 醉、 鹹 অপর পক্ষে, ভারতবর্ষে ও ইজিপ্টেও সভ্যতার মূলভাব এক বটে, কিন্তু সমাজকে তাহ আচল করিয়া রাখিল ; তাহার সরলতায় সমস্ত যেন একঘেয়ে হইয়া গেল। দেশ ধ্বংস হইল না, সমাজ টি-কিয়া রহিল, কিন্তু কিছুই অগ্রসর হইল না, সমস্তই এক জায়গায় আসিয়া বদ্ধ হইয়া গেল । প্রাচীন সভ্যতা মাত্রেই একটা-না-একটা-কিছুর একাধিপত্য ছিল । সে অার কাহাকেও কাছে আসিতে দিত না, সে আপনার চারি দিকে আটঘাট বাধিয়া রাখিত । এই ঐক্য, এই সরলতার ভাব সাহিত্যে এবং লোকসকলের বুদ্ধিচেষ্টার মধ্যেও আপন শাসন বিস্তার করিত। এই কারণেই প্রাচীন হিন্দুর ধর্ম ও চারিত্র -গ্রন্থে, ইতিহাসে কাব্যে সর্বত্রই একই চেহারা দেখিতে পাওয়া যায় । তাহণদের জ্ঞানে এবং কল্পনায়, তাহাদের জীবনযাত্রায় এবং অনুষ্ঠানে এই একই ছাদ । এমন-কি, গ্রীসেও জ্ঞানবুদ্ধির বিপুল ব্যাপ্তি সত্ত্বেও, তাহার সাহিত্যে ও শিল্পে এক আশচর্য একপ্রবণতা দেখা যায় । যুরোপের আধুনিক সভ্যতা ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। এই সভ্যতার উপর দিয়া একবার চোখ বুলাইয়া যাও, দেখিবে, তাহা কী বিচিত্র জটিল এবং বিক্ষুব্ধ। ইহার অভ্যস্তরে সমাজতন্ত্রের সকল রকম মূলতত্ত্বই বিরাজমান ; লৌকিক এবং আধ্যাত্মিক শক্তি, পুরোহিততন্ত্র, রাজতন্ত্র, প্রধানতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র, সমাজপদ্ধতির সকল পর্যায়, সকল অবস্থাই বিজড়িত হইয়া দৃশ্যমান ; স্বাধীনতা ঐশ্বর্য এবং ক্ষমতার সর্বপ্রকার ক্রমান্বয় ইহার মধ্যে স্থান গ্রহণ করিয়াছে। এই বিচিত্র শক্তি স্থির নাই, ইহার} আপনা-আপনির মধ্যে কেবলই লড়িতেছে। অথচ ইহাদের কেহই আরসকলকেই অভিভূত করিয়া সমাজকে এক অধিকার করিতে পারে না।