পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/১৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১০
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।

অন্যান্য পথ নিঃসৃত হইয়াছে। সমুদায়টী যেন একটী লূতাতন্তুজাল। ঐ জাল মধ্যভাগে জুমা মস্‌জি‌দ এবং প্রতিতন্তুর পার্শ্বদেশে প্রজাবর্গের আবাস গৃহ।

 দিল্লীর রাজবর্ত্ম সকল জনতায় পরিপূর্ণ। জুমা মস্‌জি‌দে মন্ত্রিসভার অধিবেশন হইয়াছে। এই সভায় অভিনব সাম্রাজ্যের সংরক্ষণ পালনাদির ব্যবস্থা নিরূপিত হইবে। প্রজাদিগের কৌতূহলের পরিসীমা নাই। ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়, জাঠ, মহারাষ্ট্র, মুসলমান প্রভৃতি নানা প্রদেশ বাসী জনগণ পথিপার্শ্বে স্থানে স্থানে মিলিত হইয়া পরস্পর কথোপকথন করিতেছে। সকলেরই মুখ প্রফুল্ল, অন্তঃকরণ উৎসাহ পূর্ণ। একজন ব্রাহ্মণ একজন মুসলমানকে বলিতেছেন “যে রাম সেই রহীম, ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়”। মুসলমান বলিতেছেন “ঠাকুর যথার্থ কহিয়াছেন, সমস্ত জগৎ সেই এক অদ্বিতীয় ঈশ্বরেরই বিভূতি মাত্র, মানুষ ভেদে যেমন আচারভেদ—পরিচ্ছদ ভেদ—ভাষাভেদ—তেমনি উপাসনার প্রণালীভেদও হইয়া থাকে। সকলেই এক পিতার পুত্র। সেই পিতা ভিন্ন ভিন্ন পুত্রকে ভিন্ন ভিন্ন পোষাক পরাইয়া দেখিতেছেন। কিন্তু সকলেরই চামড়ার নীচে লহু লাল বই কাহারোও কাল কাহারোও জরদ নহে।” একজন ক্ষত্রিয় ঐ কথায় যোগ দিয়া বলিল “তাবই কি—আসলে কিছুই তফাৎ নাই—আমরা হিন্দু বলিয়া কি মুসলমানের