রূপ-রূপ সংঘটন করিবার উদ্দেশেই নির্ম্মাতা উহার সৃষ্টি করিয়াছিলেন। সেকন্দ্রার প্রকোষ্ঠ হইতে প্রকোষ্ঠান্তরে ক্রমশঃ গমন করিতে করিতে গমনকারীর বোধ হইয়া যায় যেন তিনি পৃথিবী ত্যাগ করিয়া আকাশমার্গে উত্থাপিত হইতেছেন। নির্ম্মাতা তাঁহাকে মর্ত্ত্যভূমি হইতে স্বর্গারূঢ় করিবার সোপান-শ্রেণী বিন্যস্ত করিয়া দিয়াছেন। মহাত্মা আকবরের সমাধি-বিবরের উপরিভাগের প্রস্তরখণ্ডটী ফাটিয়া রহিয়াছে। লোকে বলে, বিদ্যুৎপাতে ঐরূপ হইয়াছে, তাহাই কি? না, ঐ মহাপুরুষের প্রভাময় আত্মা আবরণ প্রস্তরকে উদ্ভিন্ন করিয়া সমীপবর্ত্তিনী দিব্যভূমিতে বিচরণ করিতে গমন করিয়াছে? সেকন্দ্রার চতুর্দ্দিকে লোকারণ্য। হাতি, ঘোড়া, উট্, তামজান, রথ অসংখ্য। সম্রাট্ রামচন্দ্র সেকন্দ্রা দর্শনে আসিয়াছেন, এবং প্রধান মন্ত্রী পেশোয়াকে সমভিব্যাহারে করিয়া যে সর্ব্বোচ্চ প্রকোষ্ঠে আকবরের সমাধি স্থান, সেই স্থানে গমন করিয়াছেন। দুই জনে তথায় উপবিষ্ট, রাজা রামচন্দ্র কহিতেছেন—“পিতঃ, আমি আপনার আদেশের অনুবর্ত্তী হইয়া এই স্থানে আসিয়াছি— তাজমহল অপেক্ষাও এই স্থানটী অধিকতর রমণীয় বলিয়া আমার বোধ হয়।” বাজীরাও কহিতেছেন, “বৎস! তাজমহল একজন সমৃদ্ধিশালী বাদসাহের নির্ম্মিত বটে, কিন্তু যিনি সেকন্দ্রার নির্ম্মাতা, তিনি কেবল ধনশালী
পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/২১
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
উন্নতির পথ মোচন।
১৭
৩