বাদসাহ ছিলেন না, তিনি এক জন সুদূরদর্শী মহাপুরুষ ছিলেন। আকবর সাহাই বুঝিয়াছিলেন, কেমন করিয়া অন্তর্বিচ্ছেদে বিচ্ছিন্ন মহাদেশটীকে একচ্ছত্র করিয়া রাখিতে হয়। ধর্ম্মবিদ্বেষ কখনই তাঁহার অন্তঃকরণে স্থান লাভ করে নাই। তিনি হিন্দু এবং মুসলমানকে একধর্ম্মসূত্রে সম্বদ্ধ করিবার জন্য কি বিচিত্র উপায়েরই সৃষ্টি করিয়াছিলেন। যিনি ঐ পথে না চলিবেন তিনিই ভারতবর্ষের সিংহাসন হইতে স্খলিতপদ হইবেন।” রামচন্দ্র কহিলেন, “মুসলমান সম্রাটেরা পরধর্ম্মবিদ্বেষী হইতে পারেন, হিন্দুসম্রাটেরা কখনই সেরূপ হইতে পারেন না।” বাজীরাও বলিলেন, “সে কথা সত্য। হিন্দুরা স্বধর্ম্মে ভক্তি করেন, অথচ পরধর্ম্মে বিদ্বেষ করেন না। কিন্তু যেমন পরধর্ম্ম-বিদ্বেষ নাই, তেমন আমাদিগের আর একটী দোষ আছে। আমরা আবহমানকাল সকল বিষয়ে যে প্রণালী অবলম্বন করিয়া আসিতেছি, তাহার কিছুমাত্র অন্যথা করিতে চাহি না। কিন্তু সকল সময়ে কি এক নিয়ম চলে? আমি সম্প্রতি বঙ্গদেশে গিয়া যাহা যাহা দেখিয়া আসিলাম, তাহা বলিতেছি শ্রবণ করুন। শুনিলেই বোধ হইবে যে, আমাদিগকে পূর্ব্বরীতির কিছু কিছু ব্যত্যয় করিতে হইবে—তাহা না করিলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।”—বাজীরাও কহিতে লাগিলেন, “বাঙ্গালার সুবাদার তাঁহার অধিকারস্থ কতকগুলি বি-
পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/২২
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৮
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।