উঠিলে আর একটী প্রশস্ত উদ্যান মধ্যে প্রবিষ্ট হওয়া যায়, তাহারও প্রান্ত-সীমায় আবার একটী সোপান-শ্রেণী আবার একটী উদ্যান। এইরূপ ক্রমে ক্রমে এবং উপর্য্যুপরি অনেকগুলি বৃক্ষবাটিকা অতিক্রান্ত হইলে সুরম্য রাজভবন এবং স্নানাগার শ্রেণী দৃষ্ট হয়। যাঁহারা সুবিখ্যাত রাণী সেমিরেমিস বিনির্ম্মিত বেবিলন নগরের নিরলম্ব উদ্যানের বিবরণ পাঠ করিয়াছেন, “শালেমার বাগ” দর্শন করিলে তাঁহাদিগের সেই কথা মনে পড়িতে পারে।
সম্রাট্ এবং প্রধান মন্ত্রী সর্ব্বদাই ঐ স্থানে যাইতেন। বৈদেশিক রাজপ্রতিভূদিগের দরবার প্রায় ঐ স্থানেই নির্ব্বাহিত হইত। কোন বর্ষের ফাল্গুন মাসে অতি সমারোহ পূর্ব্বক ঐ স্থানে দরবার হইয়াছিল। ফ্রান্স, অষ্ট্রিয়া, রুসিয়া, ইংলণ্ড, আমেরিকা, তুরষ্ক, পারস্য, চীন, ব্রহ্ম প্রভৃতি নানা দেশীয় প্রতিভূগণ সমাগত। ফ্রান্স প্রতিভূর ইচ্ছা, তাঁহার দেশে যে প্রজাতন্ত্র-শাসনপ্রণালী প্রবর্ত্তিত হইয়াছে, ভারত-সম্রাট্ তাহার অনুমোদন করেন, এবং তাহা করিয়া রুসিয়া, অষ্ট্রিয়া ইংলণ্ডের বিরূপতা নিবারণ করেন। মাসাবধি ঐ বিষয় লইয়া অনেক বাদানুবাদ এবং তর্ক বিতর্ক হইয়া আসিতেছে। পরে সম্রাটের অভিমতি প্রকাশের নিমিত্ত, ঐ দিন সভা হইয়াছে, এবং পেশোয়া প্রতিভূবৰ্গকে সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন—