বতী কথায় একান্ত শ্রদ্ধান্বিত হইয়া তাহারই মতানুযায়ী কার্য্য করিবার নিমিত্ত স্ব স্ব কর্ত্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করিবেন। ভারত সম্রাটের অভিমতির বিপরীতাচরণ শ্রেয়ঃ নহে।”
গঙ্গা কল কল শব্দে চলিতেছেন। পূর্ব্বোপকূল অতিশয় উচ্চ—ত্রিংশৎ হস্তের ন্যূন হইবে না। মধ্যে মধ্যে ঐ কূলের ধার ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে। ভগ্ন স্থানের অতি নিম্ন প্রদেশও কোথাও মনুষ্যাবাসের চিহ্নশূন্য নহে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইষ্টক নির্ম্মিত প্রাচীর—কূপের পাট—মৃৎকলসাদি কৃত্রিম পদার্থ সকল সর্ব্বদাই বাহির হইয়া পড়িতেছে। ঐ স্থানটী সুপ্রসিদ্ধ কান্যকুব্জ নগর। উহার প্রান্তে যে অত্যুচ্চ প্রাসাদ একটী দেখা যাইতেছে, তাহার নাম “সীতাকারসুঁই”। প্রথিত আছে, সীতাঠাকুরাণী শ্রীরামচন্দ্র কর্ত্তৃক বর্জ্জিত এবং বনে প্রস্থাপিত হইলে বাল্মীকি মুনির আশ্রমে আসিয়া যেখানে বাস করেন, সেটী ঐ স্থান। ঐ স্থানে তিনি রন্ধন করিয়া বানপ্রস্থ ঋষিবৰ্গকে ভোজন করাইতেন। পূর্ব্বে ঐ স্থানে একটী দেবালয় ছিল। অন-