পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৩৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
কান্যকুব্জের চতুষ্পাঠী।
২৯

ন্তর ঐ দেবালয় ভগ্ন করিয়া একটী মসজিদের নির্ম্মাণ হয়। পরে ঐ মসজিদ স্থানে স্থানে ভগ্ন হইয়া উহার প্রস্তর সকল গ্রন্থিবিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িতেছে। এক্ষণে দেখা যাইতেছে যে, প্রস্তরগুলিতে লক্ষী, গণেশ, নারায়ণ প্রভৃতি দেব দেবীর যে সকল প্রতিমূর্ত্তি অঙ্কিত ছিল—সেই মূর্ত্তিগুলিকে ভিতরে দিয়া মসজিদের প্রাচীর নির্ম্মিত হইয়াছিল, প্রাচীর ভগ্ন হওয়াতে সেই মূর্ত্তি সকল আবার বাহির হইয়া আসিতেছে।

 সীতাকারসুঁয়ের সর্ব্বোচ্চ ভাগে উঠিলে সমস্ত নগরটীকে একখানি সতরঞ্চের ছকের ন্যায় দেখিতে পাওয়া যায়।

 পল্লী গুলি স্বতন্ত্র; দুইটী পল্লী পরস্পর মেশামিশি হইয়া নাই—মধ্যে মধ্যে বৃক্ষ-রাজী দ্বারা বিভিন্নীকৃত। এইরূপ হওয়াতে নগরটী সমধিক বিস্তীর্ণ—যত লোকের বাস তাহা অপেক্ষা আয়তনে অনেক অধিক বোধ হয়। কনোজের বিভিন্ন পল্লীগুলির নাম অনুসন্ধান করিলে ইহাই বোধ হয় যে, বিভিন্ন বর্ণসম্ভূক্ত জনগণ প্রায়ই বিভিন্ন পল্লীতে বাস করিয়া থাকে। মনুসংহিতায় নগরাদি নির্ম্মাণের যেরূপ বিধি আছে, কনোজ যে সেই বিধানের অনুসারেই প্রথমে নির্ম্মিত হইয়াছিল, এবং এখনও সেই নির্ম্মাণের কতক প্রকৃতি ধারণ করিয়া আছে, তাহার সংশয় নাই।