পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৩৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩২
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।

রূপেই কীর্ত্তিত হইয়াছে। বাল্মীকির করুণা—হোমরের ওজস্বিতা, বৰ্জ্জিলের প্রসাদবত্তা—মিলটনের গভীরতা—ব্যাসের লৌকিকতা, মহর্ষি সঞ্জীবন প্রণীত “পুনরুত্থান” নামক মহাকাব্যে যে সংক্রান্ত হইয়াছে, ইহা সর্ব্বদেশীয় সকল আলঙ্কারিকেরা একবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন।



সপ্তম পরিচ্ছেদ। বারাণসীর বিদ্যালয়।

 বর্ষা কালে যখন গঙ্গার দুইটি করপ্রদা নদী বরণা এবং অসি পরস্পর মিলিত হইয়া যায়, তখন আরঞ্জেব বাদসাহের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের ঊর্দ্ধ হইতে দেখিলে মৎস্যোদরী কাশীর কি অপরূপ সৌন্দর্য্যই অনুভূত হইতে থাকে। উত্তরবাহিনী গঙ্গার পূর্ব্বপার হইতে বারাণসীর সৌধশ্রেণী অবলোকন করিতে করিতে মনে হয়, ইহাই বুঝি চন্দ্রচূড়ের ললাট নিহিত চন্দ্রকলা। মৎস্যোদরী দেখিলে বোধ হয় এই স্থানটী সত্য সত্যই ত্রিশূলীর ত্রিশূলোপরি সংরক্ষিত। পৃথিবী প্রলয়জলে প্লাবিত হইয়া গেলেও এই পুরী মগ্ন হইবে না।

 মৎস্যোদররূপা বারাণসীর সম্মুখপুচ্ছের সে স্থান যে পল্লী সেই পল্লীর নাম ত্রিপুরা ভৈরবী। উহা উত্তরে বিশ্বের