এবং দক্ষিণে কেদার, এই উভয় স্থানের মধ্যবর্ত্তী। ঐ পল্লীতে একটী প্রধান চতুষ্পাঠী সংস্থাপিত হইয়াছে। সেই চতুষ্পাঠীতে বহু শাস্ত্রের চর্চ্চা হইয়া থাকে। বিশেষতঃ, যাবতীয় নব্য ভাষা ঐ স্থানে শিক্ষিত হয়। ফরাসী, জর্ম্মণ, ইটালীয়, ইংরাজী, ফরাসী, হিন্দী—এই কয়েকটী ভাষা শিক্ষা দিবার নিমিত্ত স্বতন্ত্র অধ্যাপকবর্গ নিযুক্ত হইয়া আছেন। অধ্যাপক এবং ছাত্রবর্গের নিমিত্ত বৃত্তি নিৰ্দ্ধারিত আছে। ঐ সকল এবং অপরাপর চলিত ভাষার যাবতীয় পুস্তক ভিন্ন ভিন্ন পুস্তকাগারে সংরক্ষিত হইতেছে। ঐ চতুষ্পাঠীর দক্ষিণ পশ্চিমদিকে আর একটী স্বতন্ত্র বিদ্যালয় আছে। তাহাতে জ্যোতিষ, গণিত, পদার্থতত্ত্বাদি শাস্ত্রের অধ্যাপনা হইয়া থাকে। রাজা জয়সিংহের প্রতিষ্ঠিত মানমন্দির ঐ চতুষ্পাঠীর মধ্যেই পড়িয়াছে। এক্ষণে সেই মন্দিরের জীর্ণ সংস্কার এবং আয়তন বৃদ্ধি হইয়া এরূপ হইয়া দাঁড়াইয়াছে যে, তাহা পূর্ব্বে কিরূপ ছিল আর নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারা যায় না। জ্যোতিষ্ক দর্শনের নিমিত্ত একটী সুপ্রশস্ত যন্ত্রাগারও ঐ স্থানে নির্ম্মিত হইয়াছে। ঐ যন্ত্রাগারে অন্যান্য বহুবিধ যন্ত্রের মধ্যে এত বৃহৎ একটী দূরবীক্ষণ যন্ত্র আছে যে, তাহা দ্বারা আর্দ্রা নক্ষত্রের পারিপার্শ্বিক গ্রহ পর্য্যন্ত দৃষ্ট হইয়াছে। অধ্যাপক মহাশয় এক্ষণে গণনা দ্বারা সেই গ্রহ দিগের কক্ষা নিরূপণ করিতেছেন।
পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৩৭
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বারাণসীর বিদ্যালয়।
৩৩
৫