পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৩৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩৪
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।

 এখানকার পদার্থ তত্ত্বাধ্যাপক মহাশয় সম্প্রতি একটী আবিষ্ক্রিয়া করিয়া প্রধান রাজমন্ত্রীর নিকট লিখিয়া পাঠাইয়াছেন। তাহার স্থূল তাৎপর্য্য এই যে, জলে স্থলে আকাশে সর্ব্বত্র ইচ্ছানুসারে যান চালাইতে পারা যায়। ঐ কার্য্য অগ্নিতেজেও নির্ব্বাহিত হইতে পারে এবং তাড়িত প্রবাহেও সম্পন্ন হইতে পারে। কিন্তু এখনও কোন বিশেষ পরীক্ষা বিধান দ্বারা তাহার সম্যক্‌ কার্য্যকারিতা প্রমাণিত হয় নাই—না হইবার কারণ এই যে, রাজমন্ত্রী অপর একটী সুবৃহৎ ব্যাপার সম্বন্ধে পরীক্ষাবিধান করিতেছেন। প্রসঙ্গাধীন এই স্থলেই তাহার উল্লেখ করা যাইতেছে। কাঞ্চীপুর নিবাসী পশুপতি নামক একজন মহামহোপাধ্যায় এক প্রকার অস্ত্র প্রস্তুত করিয়াছেন, তাহা হইতে এমনি মারাত্মক বাস্প নির্গত হয় যে, উহা আঘ্রাত হইবামাত্র প্রাণ বিনাশ করে। ঐ বাস্পের এরূপ ভয়ানক তেজঃ যে কাচের গাত্রে লাগিলে অমনি কাচ গলিয়া যায়।

 মন্ত্রিবর এক্ষণে ঐ অস্ত্রের গুণ পরীক্ষা করিতেছেন। অস্ত্রের যেরূপ ক্ষমতা, তাহাতে বোধ হয়, উহার প্রভাবে পৃথিবী হইতে সংগ্রাম কার্য্য একেবারেই উঠিয়া যাইবে। আবিষ্কর্ত্তার নামানুসারে অস্ত্রের নাম “পাশুপত অস্ত্র” রাখা হইয়াছে।