ছিল। তাহার উল্লেখ করিলে সাম্রাজ্যের বাণিজিকী ব্যবস্থা কিরূপ, তাহা কতক উপলব্ধ হইবে বলিয়া তাহার উল্লেখ করা যাইতেছে। ইংলণ্ড দেশে এক বার সূত্র প্রস্তুত করিবার এবং বস্ত্র বয়ন করিবার কলের উৎকর্ষ সাধন হইয়া গেলে, এক বৎসর ইংরাজ বণিকেরা কয়েকখানি জাহাজ বোঝাই করিয়া কার্পাস সূত্র এবং কাপড় পাঠাইয়া ছিল। ঐ সূত্র এবং বস্ত্র এখানে কিছু সস্তাদরে বিক্রীত হইয়া গেল। এই ব্যাপার ঘটিলে এখানকার তন্তুবায় সম্প্রদায় সম্রাটের নিকট এই বলিয়া আবেদন করে যে, বর্ষ কয়েকের নিমিত্ত ইংরাজি সুতা এবং কাপড়ের উপর অধিক পরিমাণে শুল্ক গৃহীত হউক, নচেৎ আমাদের ব্যবসায় মারা যায়। সম্রাট্ আজ্ঞা দিলেন যে, তিন বৎসর মাত্র শুল্ক গৃহীত হইবে। ইংরাজেরা ইহাতে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইল, এবং স্বাধীন বাণিজ্য প্রণালী যে যুক্তি সঙ্গত তাহা বিচার করিয়া বুঝাইবার নিমিত্ত সম্রাটের নিকট আপনাদিগের রাজদূত পাঠাইল।
বিচারে এই অবধারিত হইল যে, বার্ত্তা শাস্ত্রের নিয়ম সকল সমস্ত পৃথিবীকে একটী মহা সাম্রাজ্যরূপে জ্ঞান করিয়াই আবিষ্কৃত হইয়াছে। অতএব যতদিন পৃথিবীতে রাজ্যভেদ থাকিবে, ততদিন সম্পূর্ণরূপে ঐ সকল নিয়ম সর্ব্বত্র খাটিতে পারে না। তদ্ভিন্ন, ইতি-