স্বাধীন করিয়া দেওয়া হয়। মার্কিনেরা ভারতবর্ষের দৃষ্টান্তানুগামী হইয়া কোন কোন স্থলে আপনাদিগের শিল্প জাত সম্বৰ্দ্ধিত করিয়া লইতে পারিয়াছে।
বাণিজ্যের স্থূল নিয়ম এই। কিন্তু বিশেষ অনুসন্ধান করিয়া দেখিলে বোধ হয়, যেন ভারত সম্রাট্ বাণিজ্য বিস্তার বিষয়ে তেমন ব্যগ্র নহেন। তাঁহার প্রধান মন্ত্রী একদিন সবিশেষ চিন্তাকুলিত হইয়াই বলিয়াছিলেন যে, যন্ত্রাদি যোগে শিল্প কার্য্যের বাহুল্য সাধন করায় যেমন উপকার হয়, তেমনি অপকারও হইয়া থাকে। দেশের মধ্যে কতকগুলি লোক আঢ্য হইয়া উঠে, কিন্তু অপর সকলে অন্নাভাবে হাহাকার করিতে থাকে। অতএব শিল্পকার্য্যের আধিক্য এবং উৎকর্ষ সাধন যেমন এক পক্ষে উপকারক, তেমনি পক্ষান্তরে প্রজাব্যুহের মধ্যে অর্থ সম্বন্ধীয় বিজাতীয় বৈসাদৃশ্য জন্মাইয়া দিয়া অপকারক হয়। এদেশে যদিও বংশমর্য্যাদানুযায়ী বর্ণভেদের প্রথা প্রচলিত থাকাতে এবং অত্যুদার আর্য্য শাস্ত্রের বিধিপালনে অভ্যাস বশতঃ জনগণ নিতান্ত পর দুঃখে কাতর হওয়াতে ঐ দোষ সম্যক্ অনিষ্ট সাধন করিতে পায় না, তথাপি অর্থ সম্বন্ধীয় তাদৃশ বৈসাদৃশ্য অনেক ভাবি অনিষ্টের হেতু হইতে পারে। মন্ত্রিবর এ কথাও বলেন যে, উপনিবেশ স্থাপনের দ্বারা কিয়ৎ পরিমাণে ঐ দোষের নিবা-