এই সকল ব্যবস্থা প্রণয়ন করাইবার সময় ব্যবস্থাপক সভায় এক জন রাজমন্ত্রী যে বক্তৃতা করেন, তাহার কিয়দংশ এ স্থলে উদ্ধৃত করা যাইতেছে। “প্রকৃতরূপে দান ধর্ম্ম পালন বড় কঠিন কর্ম্ম। দান যেমন দাতার পক্ষে পুণ্যবৰ্দ্ধক, তেমনি গ্রহীতারপক্ষে পাপজনক। তুমি দান করিয়া আত্মপ্রসাদ লাভ করিলে, আমি তোমার দান গ্রহণ করিয়া আত্মগ্লানি প্রাপ্ত হইলাম। অতএব একবারে উভয় দিক হইতে দেখিলে দানের দ্বারা যে দেশমধ্যে ধর্ম্মের বৃদ্ধি হইল, একথা বলা যাইতে পারে না। কিন্তু দানের অধিকও ত ধর্ম্ম নাই—সুতরাং উহার পালন না হইলে ধর্ম্মবৃদ্ধির পথই লুপ্ত হয়। অতএব এমত কোন উপায় করা আবশ্যক, যাহাতে দান গ্রহীতার আত্মগ্লানি জন্মিতে না পারে। তাহা হইলেই দাতার ধর্ম্মবৃদ্ধি হইল, অথচ গ্রহীতার গ্লানি হইল না। সে উপায় কি? সে উপায় এই—দেশের মধ্যে ধর্ম্মবৃদ্ধি এবং জ্ঞান বৃদ্ধি করিবার নিমিত্ত যে সকল লোক নিযুক্ত আছেন, তাঁহারা বাস্তবিক অন্যের উপকারার্থে আপনাদিগের সাংসারিক সুখচিন্তা পরিহার করিয়াছেন। তাঁহারাই দানের সর্ব্ব প্রধান পাত্র। যাহাকে তাহাকে দান না করিয়া ঐ সকল লোককেই দান করা বিধেয়। উঁহারা যেরূপ উচ্চপদস্থ ও যেরূপ উন্নতকার্য্যে চিরব্রতী, তাহাতে অন্যের স্থানে দান
পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৪৬
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৪২
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।