ভারতবর্ষীয়েরা ছেলে বেলা অবধি যেমন ভক্তির শিক্ষা দেয়, আমরা কি অন্য ইউরোপীয়েরা তাহার শতাংশও দিই না। এই জন্যই ইউরোপের লোক সকল এত উচ্ছৃঙ্খল এবং স্বার্থপর হইয়াছে।
“আবার বিচার আসিয়া পড়িল। কি করি নিজের দেশটী এমন হয়না কেন? এই ভাবটী মনোমধ্যে চির জাগরূক হইয়া উঠিয়াছে, আর নিবৃত্ত করিবার নহে।
“পরদিন প্রতিমার বিসর্জ্জন। বিসর্জ্জন? তবে আর কে কোন্ মুখে বলিবে যে, ভারতবর্ষীয়েরা মৃন্ময় দেব মূর্ত্তিকেই ঈশ্বর মনে করে? তাহা করিলে কি বিসর্জ্জন করা সঙ্গত হইত? কিন্তু অমন সুন্দর মূর্ত্তির কিরূপে বিসর্জ্জন করিবে? তাহাই আশ্চর্য্যের বিষয়। উহা মাটীর, পাথরের নয়। পাথরের হইলে আমাদের মাইকেল এঞ্জিলোর ভাস্করীয় মূর্ত্তির সহিত তুলিত হইতে পারিত, প্রতিমাটীর এমনি দিব্য গঠন।
“কিন্তু ভারতবর্ষীয় দিগের সর্ব্ব প্রকার ঐশ্বর্য্যই পৃথিবীতে তুলনা রহিত। উহারা যেমন অজস্র অর্থ ব্যয় করিয়াও দরিদ্র হয় না, তেমনি এমন সকল প্রতিমাকে জলে ফেলিয়া দিয়াও শিল্প নৈপুণ্যের অভাব হইবে মনে করে না। যাহাদিগের অধিক থাকে তাহারা অধিক ব্যয় করিতে পারে। ভারতবর্ষীয় দিগের সকলই অধিক। ধন ও যেমন, বিদ্যা ও তেমন, শিল্পচাতুর্য্য ও সেই-