ভারতবর্ষের আভ্যন্তরিক অবস্থা কিরূপ তাহা বলিবার নিমিত্ত কএকটী প্রসিদ্ধ পর্য্যটকের গ্রন্থ হইতে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত করা যাইতেছে। ঐ পর্য্যটকেরা এই মহাদেশের নানা ভাগে পরিভ্রমণ করিয়া যাঁহার চক্ষে যাহা কিছু বিশেষ রূপে লাগিয়াছে, তাহাই সবিস্তার বর্ণন করিয়াছেন। গ্রন্থবাহুল্য ভয়ে তৎসমুদায় সংক্ষেপতঃ উল্লিখিত হইবে। একজন রুষীয় পর্য্যটক লিখিয়াছেন।—
“ভারতবর্ষের প্রতি গ্রামই যেন একটী প্রজা তন্ত্র স্থান। গ্রামের যাবতীয় কার্য্য গ্রামের লোকেরাই স্বয়ং নির্ব্বাহ করে। রাজা অথবা রাজ প্রতিনিধি কাহাকেও হস্তক্ষেপ করিতে হয় না। প্রতি গ্রামেই এক একটী দেবালয় আছে, সেই দেবালয়ের সন্নিহিত প্রাঙ্গণে গ্রামবাসী দিগের সভা হয়। গ্রামের প্রতিপল্লী হইতে ঐ সভায় এক একজন প্রতিনিধি উপস্থিত হন, পরে বিচার্য্য বিষয়ে বাদানুবাদ হইয়া যাহা অবধারিত হয়, সকলে তদনুযায়ীই কার্য্য করে। আমাদিগের রুষিয়াতেও ঐ প্রণালী প্রচলিত আছে। তবে আমাদের দেশে প্রতি গ্রামে কতকগুলি করিয়া লোক দাস্যে নিযুক্ত থাকে। ভারতবর্ষে সেরূপ নাই। আর একটী প্রভেদ এই—রুষি-