ওরূপ করতে হইবে বলিয়া যে কোন রাজনিয়ম আছে এমত নহে, কিন্তু ব্যবহারই এইরূপ। ধান্য ভূমি? সেখানকার লোক সকল স্বতঃই সৎকার্য্যে প্রবৃত্ত হয়, আইনের বলের অপেক্ষা করে না।”
একজন জর্ম্মণ পর্য্যটক লিখিয়াছেন, “আমি এদেশে (ভারতবর্ষে) আসিয়া একটী প্রধান তথ্য শিখিলাম। ইউরোপ খণ্ডের সর্ব্বত্র দেখিয়া এবং ইউরোপীয় ইতিবৃত্তের পর্য্যালোচনা করিয়া আমার সংস্কার হইয়া গিয়াছিল যে, মনুষ্যদিগের অন্তঃকরণে অপর সকল বৃত্তি অপেক্ষা স্বার্থপরতা বৃত্তিই অধিকতর প্রবল। কিন্তু দেশের জন্ম বাতাসের গুণেই হউক, আর মিতাহার গুণেই হউক, আর পুরুষানুক্রমিক শিক্ষার প্রভাবেই হউক, ভারতবর্ষীয় দিগের অন্তঃকরণে স্বার্থপরতা তেমন প্রবল বলিয়া বোধ হয় না। আমরা নিজস্ব রক্ষা করিবার জন্য সর্ব্বদাই ব্যতিব্যস্ত থাকি, নিরন্তর স্বত্বাধিকার লইয়াই বিবাদ করি, যাহা আপনার বলিয়া বোধ করিয়াছি, তাহ কোন মতেই ছাড়িয়া দিতে পারি না— কিন্তু এদেশীয় দিগের প্রকৃতি অন্যরূপ। ইহাদিগের মধ্যে আত্মপর বোধ অল্প—ঔদার্য্য গুণ অধিক।
“তাহার দৃষ্টান্ত দেখ, এখানকার ভূম্যধিকারিগণ কদাপি স্ব স্ব অধীন গ্রামিকগণের স্বত্ব লোপ করিয়া আপনাদিগের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেন না—