পক্ষান্তরে গ্রামিকেরা ও ভূম্যধিকারীদিগের প্রতি চিরসন্দিগ্ধ চিত্তের ন্যায় ব্যবহার করে না। ইউরোপ খণ্ডে ঐ ব্যাপার লইয়া কত তুমুল বিবাদ হইয়া গিয়াছে। জর্ম্মণির মধ্যে সেই বিবাদ অদ্যাপি চলিতেছে। ভারতবর্ষে তাহার নাম গন্ধও নাই। এখানকার ভূম্যধিকারিগণের প্রধান কার্য্য (১ম) গ্রামিকদিগের স্থানে রাজস্ব আদায় করা (২য়) গ্রামিকেরা শান্তিভঙ্গাদি দোষের কিরূপ বিচার করে, তাহার তত্ত্বাবধান করা, (৩য়) আপনাপন অধিকারের মধ্যে রাস্তা, ঘাট, জলাশয়, বিপণি এবং দেবালয়াদির রক্ষণ এবং নূতন নির্ম্মাণ করা, (৪র্থ) আপনাপন আবাস স্থানে অথবা তাদৃশ সমৃদ্ধ নগরে একটী চতুষ্পাঠী সংস্থাপন, তাহার বৃত্তি নিৰ্দ্ধারণ এবং উৎকর্ষ সাধন করা।
“সম্প্রতি ভূম্যধিকারিগণ আর একটী কার্য্যের সূত্রপাত করিতেছেন। তাঁহারা অনেকে মিলিয়া ব্যবস্থাপক সভায় এই মর্ম্মে আবেদন করিয়াছিলেন যে, ২০ বর্ষ হইতে ৪০শ বর্ষ বয়স্ক যাবতীয় গ্রামবাসী প্রজাকে মাসের চারি দিন সম্মিলিত হইয়া যুদ্ধ বিদ্যা অভ্যাস করিতে হইবে, এইরূপ ব্যবস্থা প্রণীত হয়। যদিও ব্যবস্থা প্রণীত হয় নাই, কিন্তু ইচ্ছাতঃ সকলেই তাহার অনুষ্ঠান করিতে পারেন, সম্রাট্ এই অভিপ্রায় করিয়াছেন। তাহাতে অনেকেই তাহার পূর্ব্বানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত