হইয়াছে। গত ৫০।৬০ বৎসরের মধ্যে ভারতবর্ষীয়দিগের আভ্যন্তরিক পরিবর্ত্ত যে কিরূপ হইয়াছে তাহার একটী দৃষ্টান্ত এই। পূর্ব্বে ভারতবর্ষে জাতিভেদের বড়ই আঁটা আঁটি ছিল। এক্ষণে তাহা অনেক কম হইয়াছে।
“সেদিন একজন ক্ষত্রিয় ভূম্যধিকারীর গৃহে অতিথি হইলে তিনি স্বচ্ছন্দে আমার সহিত একত্রে বসিয়া আহার করিলেন। তাঁহাদিগের পূর্ব্ব ব্যবহার এরূপ ছিল না, এক্ষণে এরূপ হইয়াছে দেখিয়া বিস্ময় প্রকাশ করিলে তিনি ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, ভারতবর্ষের জাতিভেদ প্রথার একটী প্রাকৃতিক মূল আছে; উহা নিতান্ত কৃত্রিম বস্তু নহে, এইজন্য উহা অদ্যপি চলিতেছে, আরও কিছুকাল চলিবে। তদ্ভিন্ন তখন অমাদিগের যে দশা, তাহাতে জাতিভেদের বিশেষ আঁটা আঁটি রক্ষা করিবার প্রয়োজন ছিল। তখন আমাদিগের দেশ স্বাধীন ছিল না, ধর্ম্ম বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছিল। সাহিত্য শাস্ত্রেরও উন্নতি হয় নাই। আমাদিগের জাতিত্বই বিনাশ দশায় পতিত হইয়া যাইতেছিল। সে সময়ে যদি বিশেষ যত্ন করিয়া আপনাদিগের প্রাচীন সামাজিক প্রণালী সমুদায় রক্ষা না করিতাম, তবে এতদিন আমরা বিলুপ্ত হইয়া যাইতাম, এখন আমাদিগের দেশ স্বাধীন—ধর্ম্ম সজীব—সাহিত্য পুনরুজ্জীবিত হইয়া জাতিত্ব রক্ষা করিতেছে। এখন আর কেহ আমাদিগকে আত্মসাৎ করিতে পারে না,