স্বভাবতঃই পুরুষদিগের অপেক্ষা দুর্ব্বলা অতএব পুরুষ কর্ত্তৃক অবশ্যই পরিরক্ষণীয়া হইবেন। যদি দুর্ভাগ্যবশতঃ কোন দেশের পুরুষেরাই আত্মরক্ষায় অসমর্থ হইয়া পড়ে, তবে তাহারা স্ত্রীলোকদিগকে গৃহ মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়া আর কিরূপে রক্ষা করিবে; অতএব স্ত্রী নিরোধটী শুদ্ধ পরাধীনাবস্থার ফল। পরাধীনতা মোচন হইলেই স্ত্রী নিরোধও রহিত হইয়া যায়। হিন্দুরাও পূর্ব্বে স্ত্রীলোকদিগকে গৃহপিঞ্জর নিরুদ্ধ করিয়া রাখিতেন না। মুসলমানদিগের অধীন হইয়া পড়িলে তাঁহারা স্ত্রীলোকদিগকে গৃহে বদ্ধ করেন। মুসলমানেরাও চিরকাল যথেচ্ছাচারী রাজার অধীন, এবং বিশেষতঃ বহু বিবাহ পরায়ণ, এই জন্য তাঁহারাও স্ত্রী নিরোধে বাধ্য ছিলেন। এখন ভারতবর্ষীয়েরা পরাধীন নহেন। এইজন্য স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বের ন্যায় নিরোধও নাই। যত দিন কোন দেশের শান্তিরক্ষা এবং ধর্ম্মাধিকরণের ভার কি বিজাতীয় কি যথেচ্ছাচারী ব্যক্তিদিগের হস্তে থাকে, ততদিন সে দেশে স্ত্রীলোকদিগের সভারোহণ অথবা যথেচ্ছ বহির্গমন প্রচলিত হইতে পারে না। উল্লিখিত যুক্তি কতদূর যথার্থ, তাহার বিচার করিয়া কি ফল? পূর্ব্বে ইহারা বহু বিবাহ করিত, বোধ হয়, এখনও কতক করে, তবে অনেক কম হইয়া থাকিবে। এ বিষয়ে কোন রাজব্যবস্থা নাই।”
একজন মার্কিন মিসনরী তাঁহার কোন বন্ধুকে ভারত-