পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৬২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৫৮
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।

বর্ষ হইতে যে পত্র লিখেন, তাহার কিয়দংশ নিম্নে উদ্ধৃত হইল।

 “ভারতবর্ষীয়দিগের মধ্যে খৃষ্ট ধর্ম্ম প্রচার করিতে আসিয়া যেরূপ দেখিতেছি, তাহাতে নিতান্ত হতাশ হইতে হইয়াছে। ইহাদিগের ধর্ম্মোপদেষ্টৃ ব্রাহ্মণদিগের তুলনায় আমরা নিতান্ত অবিদ্য, অপবিত্র এবং অকর্ম্মণ্য লোক। ইহারা আমাদিগের ধর্ম্মশাস্ত্রেও বিলক্ষণ ব্যুৎপন্ন। সুতরাং উহাদিগের ধর্ম্মের কোন ভাগ অযৌক্তিক বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে গেলেই উহারা আমাদিগের ধর্ম্মশাস্ত্রে তাদৃশ অযৌক্তিকতা দেখাইয়া দেয়, এবং এই কথা বলে, যদি ভক্তি মূল করিয়া আপনাদিগের শাস্ত্রের অযৌক্তিক কথায় বিশ্বাস করা যায়, তবে আমাদিগের শাস্ত্রের আপাততঃ প্রতীয়মান অযৌক্তিকতা কিজন্য ভক্তি মূলে বিশ্বসিত না হইবে? এরূপ বিচারে জয় লাভের সম্ভাবনা নাই। বিচারে ত এইরূপ। কার্য্যে ইহাদিগের যত্ন, অধ্যবসায় এবং স্বার্থশূন্যতা জেসুটদিগের অপেক্ষাও অনেক অধিক। ভারতবর্ষের প্রান্তভাগে যে সকল অসভ্য বন্যজাতীয় লোক থাকে, ব্রাহ্মণেরা তাহাদিগের মধ্যে গিয়া বাস করিতেছে, এবং ক্রমে ক্রমে তাহাদিগকে শান্ত, ত্যাগী এবং নম্র স্বভাব করিয়া তুলিতেছে। একটী উদাহরণ দিতেছি। ভারত সাম্রাজ্যের উত্তর-পূর্ব্ব প্রান্ত সীমায় আসাম নামে একটী প্রদেশ আছে। সেই প্রদেশে