বিশেষ তপশ্চরণ করিবার আদেশ দেন। কাহাকেও বলেন, তুমি বৎসরাবধি এই এই দ্রব্য খাইও না—কাহাকেও বলেন, তুমি যাহা কিছু উপার্জ্জন করিবে তাহার সিকি বা অৰ্দ্ধেক অন্যকে দান করিবে; কাহাকেও বলেন তুমি প্রত্যহ একজন অতিথির সেবা করিয়া তবে স্বয়ং অন্ন গ্রহণ করিবে। এইরূপ নানাবিধ উপায়ের দ্বারা ঐ সকল লোককে ইন্দ্রিয় সংযমন, লোভ সংবরণ, পরোক্ষদর্শন প্রভৃতি পুণ্য সম্পন্ন করা হয়। অনন্তর যে ব্যক্তি ঐ সকল আদেশ পালনপূর্ব্বক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তাহাকে মন্ত্র দান করিয়া বলা হয়,—“এক্ষণে তোমার ম্লেচ্ছত্ব গেল। তোমার দেয় পানীয় জলাদি আমার গ্রাহ্য হইল, এবং তোমার প্রদত্ত সামগ্রীতেও দেব পূজা করা যাইতে পারে। এক্ষণ অবধি যদি ঐ মন্ত্রজপ সহকারে এক বৎসর এই এই নিয়ম পালন কর, তবে তোমাকে আরও উন্নত জাতির মধ্যে লওয়া যাইতে পারিবে।” ব্রাহ্মণেরা পূর্ব্বকালে ভারতবর্ষের সর্ব্ব স্থানে এইরূপ করিয়া ছিলেন। সম্প্রতি প্রত্যন্ত প্রদেশগুলিতেও ঐ প্রণালীর অনুসারে কার্য্য করিতেছেন। ব্রাহ্মণ ঠাকুরের স্থানে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, বন্যেরা সংস্কৃত হইয়া প্রথমে কোচ নাম প্রাপ্ত হয়, অনন্তর পুনঃ সংস্কৃত হইলে তাহারা কলিতা নাম ধারণ করে, তৎপরে পুনর্ব্বার সংস্কার লাভ করিলে সৎশূদ্রত্ব প্রাপ্ত হয়। কখন ব্রাহ্মণ হইতে পারে
পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৬৪
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬০
স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস।