পাতা:স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাস.djvu/৬৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
আভ্যন্তরিক অবস্থা।
৬১

কি না জিজ্ঞাসা করিলে বলিলেন, ‘প্রায়ই এক জন্মে পারে না, পরজন্মে পারে।’ ‘পর-জন্মে পারা আর না পারা তুল্য কথা, কাহার পরজন্ম কি হইল, তাহা ত কেহ জানিতে পারে না’ এই কথা বলাতে ব্রাহ্মণ ঈষৎ হাস্য করিয়া বলিলেন, ‘পুত্ররূপেই মনুষ্যের পর জন্ম হয়। অতি অন্ত্যজও ক্রমে ক্রমে সংস্কারপূত হইয়া সৎশূদ্রত্ব প্রাপ্ত হইতে পারে। অনন্তর তাহার পুত্র তাদৃশ বিদ্যা, বুদ্ধি জ্ঞান সম্পন্ন হইলে ব্রাহ্মণত্বেরও অধিকারী হয়। ভারতবর্ষীয়দিগের সংস্কার প্রণালী এইরূপ। আর একটী চমৎকারের বিষয় এই, ব্রাহ্মণেরা স্বেচ্ছাতঃ এই দুরূহ ক্লেশকর কার্য্যে প্রবৃত্ত। কোথাও কোথাও ভূম্যধিকারীরাও তাঁহাদিগকে এই কার্য্যে প্রবৃত্ত করেন। কিন্তু অধিক স্থলে ব্রাহ্মণেরা স্বয়ং উদ্যোগী হইয়াই আপনাদিগের ধর্ম্ম বিস্তার করিতেছেন।”

* * * * *

 নিশান্ধকার অপগত, পূর্ব্বাকাশ দীপ্যমান। আমি আর মর্ত্ত্য ভূমিতে অবস্থিতি করিতে পারি না। কিন্তু পাঠকের ভ্রম নিবারণার্থ সংক্ষেপে আত্মপরিচয় দিয়া যাই। কাল পুরুষ, সূর্য্য ও চন্দ্ররশ্মি দ্বারা পৃথিবী পৃষ্ঠে যে ইতিবৃত্ত লিখিয়া যান, তাঁহার অনুগামিনী স্মৃতি দেবী তাহার কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ আবৃত্তি করিতে চেষ্টা করেন। আমি ঐ দেবীর ক্রীড়াসখী। ঐ ইতিবৃত্ত আবৃত্তি করিতে