স্বরবিতান ১৫ আসা-যাওয়ার মাঝখানে এ কী গভীর বাণী এল এই কথাটি মনে রেখো এই সকালবেলার বাদল-অাঁধারে এক ফাগানের গান সে আমার একলা বসে একে একে. এনেছ ওই শিরীষ বকুল এল যে শীতের বেলা এসো এসো হে তৃষ্ণার জল ও মঞ্জরী, ও মঞ্জরী ওই-যে ঝড়ের মেঘের কোলে কখন বাদল-ছোঁওয়া লেগে কত যে তুমি মনোহর কার যেন এই মনের বেদন ক্লান্ত বাঁশির শেষ রাগিণী জয় হোক, জয় হোক নব অরণোদয় ঝরঝর ঝরঝর ঝরে রঙের ঝরনা তার বিদায়বেলার মালাখানি তোমার সরের ধারা ঝরে যেথায় দারণ অনিবাণে নিদ্রাহারা রাতের এ গান - পাছে সরে ভুলি এই ভয় হয় পবে-সাগরের পার হতে পরাতনকে বিদায় দিলে না যে .পবাচলের পানে তাকাই প্রখর তপন-তাপে ফাগানের পণিমা এল ফাগানের শরে হতেই ফিরবে না তা জানি ফিরে চল মাটির টানে বহযোগের ওপার হতে বাদল-ধারা হল সারা বাদল-বাউল বাজায় রে বারে বারে পেয়েছি যে তারে বষ্টি-শেষের হাওয়া বৈশাখ হে, মৌনী তাপস বৈশাখের এই ভোরের হাওয়া ভোর হল যেই শ্রাবণশবরী মনের মধ্যে নিরবধি যতখন তুমি আমায় to স্বরবিতান ১৫ রাতে রাতে আলোর শিখা শিউলি ফোটা ফরোল যেই শীতের হাওয়ার লাগল নাচন শাকতাপের দৈত্যপরে শ্রাবণ-মেঘের আধেক দয়ার সময় কারো যে নাই সেদিন আমায় বলেছিলে হৃদয় আমার ওই বঝি তোর হেমন্তে কোন বসন্তেরই বাণী স্বরবিতান ১৬ গীতপঞ্চাশিকা অনেক পাওয়ার মাঝে মাঝে আশ্রনদীর সদর পারে আকাশ হতে আকাশ-পথে আজি বিজন ঘরে নিশীথ রাতে আমার একটি কথা আমার নিশীথ রাতের বাদলধারা আমার সকল দখের প্রদীপ আমারে বাঁধবি তোরা আমি পথভোলা এক পথিক এসেছি আয় আয় রে পাগল আলোকের এই ঝরনাধারায় এই তো ভালো লেগেছিল একদা তুমি প্রিয়ে এমনি ক’রেই যায় যদি দিন এস এস বসন্ত ধরাতলে ও দেখা দিয়ে যে চলে গেল ওই সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ওরে আমার হদয় আমার ওরে সাবধানী পথিক ওহে সন্দের মরি মরি কবে তুমি আসবে বলে কাল রাতের বেলা কাঁপিছে দেহলতা কেন রে এই দয়ারটুকু কোন খেপা শ্রাবণ ছটে এল কোন সদর হতে আমার মনোমাঝে কবরবিতান
পাতা:স্বরবিতান সূচীপত্র.djvu/১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।