স্বরবিতান ৪১ বাজাও আমারে রাজাও মোর প্রভাতের এই প্রথম ক্ষণের যে দিন ফটেল কমল রাজপরীতে বাজায় বাঁশ সেদিনে আপদ আমার যাবে কেটে স্বরবিতান ৪২ ॥ অরুপরতন ‘গীতালির বহন গান অরুপরতনের অন্তগত অরুপবীণা রপের আড়ালে আকাশ হতে খসল তারা আগমনে হল আগনময় আজি দখিন দয়ার খোলা আমরা সবাই রাজা আমার অভিমানের বদলে আজ আমার আর হবে না দেরি আমার জীণ-পাতা যাবার বেলা আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে আমার সকল নিয়ে বসে আছি আমি জবালব না মোর বাতায়নে আমি তারেই খুজে বেড়াই যে রয় আমি যখন ছিলেম অন্ধ আমি রপে তোমায় ভোলার না আঁয় আয় রে পাগল, ভুলবি রে চল আহা, তোমার সঙ্গে প্রাণের খেলা এখনো গেল না অাঁধার এবার রঙিয়ে গেল হৃদয়গগন ওই ঝঞ্জার ঝঙ্কারে ঝঙ্কারে ওই বুঝি কালবৈশাখী সন্ধ্যা-আকাশ ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর ওগো পথের সাথি, নমি বারবার কার হাতে এই মালা তোমার পাঠালে কোথা বাইরে দরে যায় রে উড়ে খোলো খোলো বার রাখিয়ো না আর চোখ ষে ওদের ছুটে চলে গো ঝড়ে যায় উড়ে যায় গো দুঃখ যদি না পাবে তো পাপ দিয়ে মারা যারে SΟ স্বরবিতান ৪২ প্রভু বলো বলো কবে বসন্ত, তোর শেষ করে দে রঙ্গ বসন্তে কি শধ্যে কেবল ফোটা ফলের বাধা দিলে বাধবে লড়াই বাহিরে ভুল হানবে যখন বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ ভোর হল বিভাবরী মম চিত্তে নিতি নতো কে যে নাচে মালা হতে খসে পড়া ফলের একটি দল মোদের কিছল নাই রে নাই মোর বীণা ওঠে কোন সরে বাজি যখন তোমায় আঘাত করি যা ছিল কালো-ধলো যেতে যেতে একলা পথে লুকিয়ে আস অাঁধার রাতে সন্দের বটে তব অঙ্গদখানি স্বরবিতান ৪৩ গীতালি কাব্যের গান - অচেনাকে ভয় কি আমার ওরে অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো আগমনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া আবার যদি ইচ্ছা কর আবার আসি ফিরে আমি হৃদয়েতে পথ কেটেছি এই-যে কালো মাটির বাসা ওই অমল হাতে রজনী প্রাতে ওরে ভীরা, তোমার হাতে ক্লান্তি আমার ক্ষমা করো প্ৰভু তোমার এই মাধুরী ছাপিয়ে তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে দুঃখের বরষায় চক্ষের জল ষেই নামল না গো, এই যে ধলা আমার না এ পান্থ তুমি পান্থজনের সখা হে মেঘ বলেছে ‘যাব যাব? মোর মরণে তোমার হবে জয় স্বরবিতান
পাতা:স্বরবিতান সূচীপত্র.djvu/২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।