স্বরবিতান ২ তপের তাপের বাঁধন কাটক তুমি মোর পাও নাই পরিচয় তুমি হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন তোমার আসন পাতব কোথায় নত্যের তালে তালে হে নটরাজ পথে যেতে ডেকেছিলে মোরে বন্ধ, রহে রহো সাথে বাঁধন ছোড়ার সাধন হবে ভালোবাসি ভালোবাসি মধ্যদিনে যবে গান বন্ধ করে পাখি মনে রবে কি না রবে আমারে মরণের মখে রেখে দরে যাও মাটির বকের মাঝে বন্দী যে জল মুখপানে চেয়ে দেখি ভয় হয় মনে যদি হল যাবার ক্ষণ যাবার বেলা শেষ কথাটি যাও বলে যেতে যদি হয় হবে রন্দ্রবেশে কেমন খেলা শীতের বনে কোন সে কঠিন । শ্রাবণ, তুমি বাতাসে কার সখী, অাঁধারে একেলা ঘরে সেই তো তোমার পথের বধ হায় রে, ওরে যায় না কি জানা হায় হেমন্তলক্ষয়ী হিমগিরি ফেলে নীচে নেমে এলে হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিরে স্বরবিতান ৩ অরপে, তোমার বাণী আজি সাঁঝের যমনায় গো আনমনা আনমনা আপনারে দিয়ে রচিলি রে কি এ আমার অাঁধার ভালো আমার ঢালা গানের ধারা আমার নয়ন তোমার নয়নতলে আমার প্রাণে গভীর গোপন আরও একটন বসো আয় আমাদের অঙ্গনে স্বরবিতান ৩ একটুকু ছোঁওয়া লাগে এবার দঃখ আমার অসীম পাথার ওরে ঝড়, নেবে আয় ওরে প্রজাপতি, মায়া দিয়ে কেন রে এতই যাবার ত্বরা ক্ষত যত ক্ষতি যত খরবায়ু বয় বেগে চপল তব নবীন অখি দটি ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী ছুটির বাঁশি বাজল যে ওই জানি তোমার প্রেমে তপস্বিনী হে ধরণী তুমি আমায় ডেকেছিলে তুমি উষার সোনার বিন্দ তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া তোমার বীণা আমার মনোমাঝে দিনশেষে বসন্ত যা প্রাণে গেল বলে দিয়ে গেন বসন্তের এই গানখানি দর রজনীর স্বপন লাগে দে পড়ে দে আমায় তোরা দেখা না-দেখায় মেশা নাই নাই ভয়, হবে হবে জয় নীল অঞ্জনঘন পাঞ্জ ছায়ায় নীলাঞ্জনছায়া নপের বেজে যায় পথে চলে যেতে যেতে বাঁশি আমি বাজাই নি কি মধরে, তোমার শেষ যে না পাই মরণ-সাগর-পারে তোমরা অমর রঙ লাগালে বনে বনে লিখন তোমার ধলায় হয়েছে ধন্লি শিউলি ফল, শিউলি ফলে সকাল বেলার আলোয় বাজে সকাল বেলার কুড়ি আমার সনীল সাগরের শ্যামল কিনারে সে কোন পাগল সে যে মনের মানুষ কেন তারে সেই ভালো সেই ভালো হার মানালে গো
পাতা:স্বরবিতান সূচীপত্র.djvu/৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।