পাতা:স্বর্গীয় মহাকবি কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত - গিরীশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 sa . . কালিদাস উপস্যাস । চিন্তা করিতে করিতে র্তাহার মানসিক রক্তি সমূহের অপূৰ্ব্ব দৃঢ়ত। জন্সিয়াছিল, তাহা লেখনী দ্বার ব্যক্ত করা যায় না। অবশেষে কালিদাস চিন্তা করিয়া স্থির করিলেন যে যতদিন জীবিত থাকিব ততদিন এই অপমানজনিত ক্ষোভ ও দুশ্চিন্তা হইতে নিস্ক তি नाड করিতে পারিব না । অতএব এ জীবন সরস্বতী দেবীর সম্মুখে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়, এই প্রকার সংকল্প স্থির করিয়া, তিনি স্নানাহার পরিত্যাগ করিয়া ঐ বনমধ্যে নিবিড়তম প্রদেশে বিচরণ করিতে থাকেন, অারও মনে করেন যে সরস্বতীর নিকট খুন হইব, এখন দৈবী কৃপাবশতঃ একদিন অমাবশ্য রাত্রিতে তিনি বনমধ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে অন্ধকারে এক পর্ণকুটরের সম্মুখে উপস্থিত হইয়। কিছুই দেখিতে পান না, ও অন্যহারে শরীর নিতান্ত অবলম্ন থাকায় দৈবাৎ ঐ কুটীরের কোন স্থান দ্বারা আঘাত লাগায় হঠাৎ ভূপৃষ্ঠে পড়িয়া গেলেন, পরে হস্ত দ্বারা জানিতে পারিলেন যে, তিনি কুটীরের আঘাতে পতিত হইয়াছেন, তখন পাছে কুটার বাসির সহিত সাক্ষাৎ হয় এই ভয়ে স ত্বর তথা হইতে পলায়ন করিলেন এবং পলায়ন সময় শুনিতে পাইলেন যে ঐ কুটীরের অভ্যস্তরে একটা মন্ত্র উচ্চারিত হইতেছে । । ষ থা— ও, ঐ, হ, স, ক, হ:, ল !' বপিন্যাদি অষ্ট নায়িক সহ বাগ বাদিন্যৈ নমঃ । তখম বুঝিতে পারিলেন যে ঐ কুটীরের মধ্যে কোন মহাপুরুষ নিদ্রাবস্থায় নীল সরস্বতীর সিদ্ধ মন্ত্র পাঠ করিতেছেন, এখন ঐ মন্ত্রধ্বনি শুনিবা মাত্র, ক্ষণকাল স্তম্ভিত হইয়া রছিলেন, আরও মনে করিলেন যে পিতা খাল্যকালে এই মন্ত্র শিক্ষা দিতেন আর আমিও এই মন্ত্র অভ্যাস করিয়াছিলাম, তবে এত দিন কি