পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নবাণী মনের মধ্যে কি যে একটা সঙ্কোচ আসিয়া বাধা निल ; डिनि ब्रांशैश्रीझ खांन शंरउद्ध अश्रूनि चांब्र বাম হস্তের তর্জনীতে পাকাইতে পাকাইতে কহিলেন— “ডাক্তার-দা তবে কি —?” . তাকার কথা অসমাপ্ত রহিয়া গেল –এই সময় নয়টার প্রথম ঘণ্টা পড়িবামাত্র পণ্ডিত মহাশয় তাড়াতাড়ি জ্যোতিৰ্ম্মীর কাছে আসিয়া হাতটা বাডাষ্টয়া কহিলেন – “তোমার হাতের রার্থী না প’রে যেতে পারছিনে शी ।” 曾 মনের আবেগে এই তৃতীয় ব্যক্তিটির অস্তিত্ব জ্যোতিৰ্ম্মী সহসা ভুলিয়া গিয়াছিলেন, সচকিত লজ্জিত ভাবে হাসিয়া বলিলেন – “অামন পণ্ডিত মহাশয়, বার্থী পরিয়ে দিষ্ট ।” হাতের সে রাখী গাছটি টেবিলে রাখিয়া তিনি অীর এক গাছি রার্থী তুলিয়া লইয়৷ পণ্ডিত মহাশয়ের হস্তে কষয়া দিতে দিতে কছিলেন—— “উপদেশ দিন এখন গুরুজী, আমার কায কি ?” রার্থী ধায়ণ করিয়া পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন, *মা, তোমাকে উপদেশ দিষ্ট এমন সাধ্য আমার কি ! তুমি স্বয়ং শক্তিরূপা ভগবতী। তুমিষ্ট আমাকে আদেশ করিবে, আমি পালন করিয়া চলিল ।” গুরুদেব গম্ভীরভাবেই এই কথাগুলি বলিলেন । জ্যোতিৰ্ম্মী হাস্ত-পরিহাসে. এই গুরুগম্ভীর বাক্যভার লঘুতরল করিবার উদেশে খুব খানিক হাসিয়া লক্টর কহিলেন, “দেখুন ত ডাক্তার সাহেব, গুরুজীর কথার མྱེ༽ 1༧ ডাক্তার তাছার মনের ভাবট ধরিয়া লইয়া পরিহাসপূর্বক কহিলেন, “গুরুজী ত ঠিক কথাই ব’লেছেন। আপনি কি মনে করেন, আপনার গুরুঞ্জী তিব্বত-বিহারী মহাত্মা—উপদেশের অতীত ?” পণ্ডিত মহাশয় ইগাছ রার্থীতে কিরূপ শোভা হইয়াছে, তাহ দেখিতে বাম হাতটা দাড়ী হইতে নামাইয়া ছিলেম, পুনরায় হস্ত যথানিয়োজনে নতমুখ উন্নত করিয়া বলিলেন, "মায়ের উপদেশ বাবাজি, মহাত্মাদেরও শিরোধাৰ্য্য। আদেশ কর মা তুমি জামাকে, কি করিব ?” শরৎকুমার কহিলেন, “ওঁকে তবে আদেশ করুন স্বাজকুমারী, উনি যেন ঘরের পোষা পার্থীটাকে পাড়া-পড়লীর নাম ডাকৃতে না শেখান্‌ ৷” পণ্ডিত মহাশখ হঠাৎ ‘খ’ হইয়া গেলেন, দড়ী হইতে হাতটা সহসা নামিয়া পড়িল । জ্যোতিৰ্ম্মী ჯაურk হাসিয়া আপনি ?”

  • আচ্ছা, পণ্ডিত মহাশয়কেই জিজ্ঞাসা করুন, কথাটা ঠিক কি না ?”

পণ্ডিত মহাশয়ের কথা ফুটিল—কণ্ঠ পরিষ্কার করিয়া লইয়া বলিলেন, “পাড়া-পড়পীর নাম ডাকৃতে শেখাই আমি । এ কি বিশ্বাসের কথা মা ? কে বল্পে বল ত হে ?” উত্তর হইল—“ষা’র নামে পার্থী বুলি ধরেছিল, সেই বলছিল।” “সেই বলছিল ! লোকটা কে শুনি ! নামটাই বল না ।” "সে কথা আমার চেয়ে আপনিই ভাল জানেন ।” পণ্ডিত মহাশয়ের অতঃপর ধৈর্ধ্যচ্যুত হইল, চড়া মেজাজে কছিলেন,“আমি কিছু জানি টানিনে বাপু, তুমি কি জেনেছ, শুনেছ তুমিই বলতে পার ।” “নিতান্তই শুনবেন সে কথা ।” বেশ গভীর হইয়া শরৎকুমার এ কথা বলিলেন,-“গুমুন তবে । কাল সকালে আমি যাচ্ছিলুম যখন আপনার বাড়ীর পাশ দিয়ে হাসপাতালে, আপনার পার্থীটি তখন মনের মুখে বুলি ধরেছে—আর রাস্তার ধারে দাড়িয়ে এক জন স্ত্রীলোক গালে হাত দিয়ে বলছে—কি ঘেন্না গো কি আক্কেল, দেবদেবীর নাম রইল শিকের তোলা —আর পার্থী ধরেছে বিন্দুর নাম ।” শরৎকুমার যে সরস অভিনয়ে কিরূপ গল্প জমাইতে পারেন, রাজকুমারী আজ তাহার প্রথম পরিচয় পাইলেন ; হাস্তোল্লাসে গৃহ পূর্ণ হইল। কিন্তু পণ্ডিত মহাশয় ইহাতে যোগ দিতে পারিলেন মা, তিনি ক্রুদ্ধ স্বরেই কছিলেন, “দেখেছ বিন্দু ময়রাণীর স্পৰ্দ্ধা ! পার্থীকে আমি কি না তার নাম গান করূতে শেখাব ?” “কিন্তু আমারও মনে হোল. পার্থী বিন্দু বিন্দু বলেই যেন ডাকৃছে।” এই সমর্থন বাক্য পত্তিতমহাশয়ের অসন্থ হইয়া উঠিল। সক্রোধে বলিলেন, দাড়াও ন গল টিপে পাখীটাকে মেরে ফেলছি গিয়েই ।” শরৎকুমার পুৰ্ব্ববৎ গভীর ভাবেই বলিলেন, “কি বলেন গুরুজী ! রাখীবন্ধনের উপদেশ এক মুহুর্তেই ভুলে গেলেন ।” পণ্ডিত মহাশয়ের ওঠাধয় এইবার হাস্তরেখায় উল্মীলিত হইল, সহস্তে কছিলেন, “জানেন ডাক্তার সাহেব,--আমি শেখাচ্ছিলুম পার্থীটাকে ফুলের नांश !” কছিলেন, “ডাক্তার-দা—কি যে বলেন