পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nobe রাণীদিদি, ঠিক কথা ! পাড়ের মুগেও এই কথা শুনেছি - इब्रिभांभ वजिल, “श्रृंशेिब्र कश्म कि मिशTां श्रुत्वा ! শোন ত বাক্যি ! গণক ঠাউর রাজপুথিত্তে এই সব লিখি থুইচে । ছটে। কুঁদে বাধ গ উজোর করি বহন ফ্যালে, তহন প্রজার কাদি কাটি রামপুরের রাজার পা চাপি ধরলে ; ঠিক কি না তুই ক ?" শশিদাসী কছিল, “রামপুর নয় গো--রাজপুর ।” হরিরাম রাগিয়া বলিল, রামপুর হইল জিলা আর রাজপুর হইল— রাজার পাটস্থান ! মেয়েজাত এমন আত্মক তা ত এই দেহি । রাজা পাটে বসি হুকুম দিলেন, এ বাঘ যে মারি আনবে, সে প্রসাদপুর বকৃসিস পাযে । সনাতন চৌধুরী খবর শুনিত ভারী খুলী—রাজদরবারে আসি কষ্টলেন—আমারে দানপত্র লিথিয়া দেওয়া হোক ৷” এতক্ষণ জ্যোতিৰ্ম্মন্ধী নীরব হাস্তমুখে তাহার দীর্ঘকাহিনী শুনিয়া যাইতেছিলেন । এইবার তাহার উপন্যাস সংক্ষেপ করিয়া কহিলেন, “তার পর সনাতন চৌধুরী বাঘ শীকারের পুরস্কারস্বরূপ রাজ্য এবং রাজকন্যা এক সঙ্গে লাভ করিলেন ? এই না इब्रिड्रांय ?" কিন্তু এত সহজে হরিরাম নিবৃত্ত হইবার নহে ; সে কছিল, “কছন কথা আরো কইচে যে, সনাতন চৌধুরী হাতীর পিঠে চড়ি– রাজপুরীতে আইলেন।” রাজকুমারী বলিলেন, “শ্বেত হাতীর পিঠে অবশু) *

  • ছ মা ! রাজা বাঘ দু'টারে মাইরা ছিলায় বধিবার কালে-ধমুকের ঘুটির রবে জঙ্গল ভইরা উঠলে ; আর অমনি—”

দাসী বলিল, “যুটির রবে না বংশীধ্বনীতে । সবাই কয় রাজা খুব বাশি বাজাতে পারতেন।” “শোন বাক্যি ! ঘুটির রব বংশীধ্বনির চেয়ে कश्य न कि ?” হরিরাম ধন্থকের ঘুটিগুল ঝনঝন্‌ করিয়া বাজাইয়া দিল – রাজকুমারী হাসির কহিলেন, “আমার ত এ ধ্বনি বাশির স্বরের চেয়েও সুমধুর মনে হচ্ছে।” আহিলাদে হাস্তবিকশিত হইয়া হরিরাম কহিল, “এই ঘুষ্টির রবে শ্বেতহস্তী বনের বাহিরে আইস, চৌধুরী মশায়কে শুড়ে তুইল। পিঠে চড়ায়ে রাজার কাছে আইনী হাজির করলেন, রাজা ভ দেইখা শুইন অবাকৃ, তিনি কইলেন—ওগো সনাতন চৌধুরী, তুমি ত দেছি ব্রাহ্মণ-সন্তান—তোমারেই আমি কন্যাদান করব। রাজমাতা আপুনি আইস 'ধমুক সজোরে স্কন্ধে "স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী তছন বরণ কইরা হাতী খে নামাইলেন । পুথিখান একবার পইড়া দেহ মা !” “পুথি পাওয়া যাচ্ছে না, হরিরাম * “পুথি পাওয়া যায় না !—” আশ্চৰ্য্য প্রকাশ করিতে গিয়া হরিরামের চক্ষু জলে ভরিয়া গেল, সে বলিল,— * “এ সেই দুর্জন বেটার কীৰ্ত্তি ! চুরিয়ে রাখছে। আজ্ঞা কর মা, তার ভিটে পুড়িয়ে পুথি আনি ৷” জ্যোতিৰ্ম্মী বলিলেন, “না, সে সব কিছু করতে হবে না ; তার কাছেই থাক না ; ক্ষতি কি তাতে । হরিরাম তুমি ধনুকট কাধ থেকে নামাও ত, দেখি আমি তুলতে পারি কি না ?” হরিরাম “হা হা” করিয়া হাসিয়া ধনুক নামাইয়া ভূমে রাখিল । জ্যোতিৰ্ম্ময়ী উঠাইতে চেষ্টা করিয়া বিফলপ্রযত্ব হইয়া কছিলেন, তাই ত ভয়ানক ভারী ! ব্যায়ামের দিনে এবার এর দ্বারা আমার ছেলেদের শক্তি পরীক্ষা করতে হবে ।” হরিয়াম বলিল, “মা জননি, ঠাউরের সে আজ্ঞে নেই ; এ ধমুক যারে তীরে ধরতে দিতে নিযেধ । এমন কহন আছে, রাজার ঘরে যদি পুত্র সন্তান না হয় ত এই ধজুক যে বেটী যারণ করবে—” এ কাহিনী শোনার দায় হইতে নিস্কৃতিলাভের অতিপ্রায়ে রাজকুমারী তাড়াতাড়ি বলিলেন, “আচ্ছা হরিরাম, এ ধমুক তুমি নিয়ে গিয়ে হাতিয়ারশালার দেয়ালে সাজিয়ে রাখগে—আমার এখন একটু কাজ আছে ।” হরিরাম আর কোন কথা না কহিয়া ভূমিপতিত ধারণ করিল । এই সময় রূপসিংহ দ্বারবান আসিয়া সৈনিক-প্রথায় সম্মান প্রদর্শনপূর্বক রাজকুমারীর নিকট একখানি পত্র-পাত্র ধরিল। রাজকুমারী পত্ৰখানি তুলিয়া হস্তে গ্ৰহণ করিবামাত্র সে আর একবার - কায়দাসহকারে তাহাকে সেলাম করিয়া চলিরা গেল ! পত্ৰখানি পণ্ডিত মহাশয়ের । লিথিয়াছেন, আজ বিকালে তিনি সম্ভবতঃ জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর নিমন্ত্রণে অসিতে পারিবেন না । কারণ, দুপুরের পর হইতে র্তাহার পাখীটির বুলি সহসা বন্ধ হইয়া পড়ায় তিনি বড়ই ভাবিত আছেন। যতক্ষণ তাহার বুলি না ফোটে —ততক্ষণ তাহার গতিবিধি সমস্তই অনিশ্চিত । ७हे नदबांटम ८छ,ांठिन्प्रंग्रौ७ छांविड झहेब्रां পড়িলেন,— তিনি জানেন পার্থীটি পণ্ডিত মহাশয়ের প্রাণের ধন, তাহার মৃতু্য হইলে পণ্ডিত মহাশয়ের বড়ই কষ্ট হইবে । তিনি গমমোস্তুত হরিরামকে