পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বপ্নবাণী আসিয়া দাড়ায়, তাহার পর গুপ্ত পথে ভিতরে প্রবেশ করে । রাজবাড়ীর বড় ঘড়িতে সজোরে চারিটার ঘণ্টা পড়িল, শূন্ত প্রাস্তরস্থিত ভগ্নদুর্গে সে আওয়াজ তোপের ন্যায় প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল। আশ্বিনের বেলা অরদানপ্রায়। দলপতি উৎমকভাবে বাহিরে আসিয়া দাড়াইলেন । “আর কি কেহ তবে আসিবে না ! যে দুই জন নূতন বালকের আজ মন্দিরে আসিবার কথা আছে—তাহারাও ত কই এখনো আসিল না ! ভল্পে পিছাইল না কি ?” তিনি বেশ একটু চিন্তিত হইয়া পড়িলেন। সহসা অদূরে সাঙ্কেতিক বংশীধ্বনিতে আগমন-বাৰ্ত্ত বিজ্ঞাপিত হইল । অল্পক্ষণের মধ্যেই অনাদি ও বসস্তকে সঙ্গে লইয়া এক জন সেবাধারী আসিয়া উপস্থিত হইল এবং দুর্গবহিদ্ধর্ণরে দণ্ডায়মান দলপতির নিকটে ইহাদিগকে পৌঁছিয়া দিয়া সরিয়া পড়িল । দলপতি প্রফুল্ল হইয়া উঠিলেন। ইহাদের সহিত পরিচয়ে ইনি বুঝিয়াছিলেন যে, এই উৎসাহী যুবকল্পকে দলভুক্ত করিতে পারিলে, তাহারা অসাধ্যসাধনে কুষ্ঠিত হইবে না, দেশের নামে প্রাণপাত করিতে ইহারা পা বাড়াইয়া আছে । তিনি উৎসাহবচনে কহিলেন, “বহুক্ষণ থেকে তোমাদের অপেক্ষীয় আছি। এত দেরী যে ? বাক্ তাতে ক্ষতি নেই— আজ ত কেবল ভৰ্ত্তির দিন ; দেশের কাবে মায়ের চরণে জীবন উৎসর্গ ক’রে আজ তোমরা নব-জীবনলাভে ধন্ত হবে।” দলপতি তাহাদিগকে অসুবৰ্ত্তী হইতে সঙ্কেত করিয়া দুই এক পদ অগ্রসর হইলেন। অনাদি নিৰ্ব্বাক্ নিম্পন্দভাবে দাড়াইয়া রহিল, বসন্ত সাহস পুৰ্ব্বক কহিল, “গুরুজী, আমাদের ক্ষমা করবেন, এ মন্দিরের সেবাধারী হ’তে আমরা পারব ন।” অনাদির জড়তা ঘুচিয়া গিয়াছে, সে বলিয়া উঠিল, “আর সেই কথা বলতেই কেবল আমরা এখানে এসেছি।” “दर्राप्ले ।” দলপতির এই ক্ষুদ্র বাক্যে নৈরাপ্ত বা বিস্ময়ের সহিত ভয়-প্রদর্শনের মুরও মিশ্রিত ছিল । বসন্ত বলিল, “সন্তোষ ইচ্ছা করলেই যদিও আমাদের হয়ে আপনাকে এ কথা জানাতে পারত, কিন্তু আপনাদের সমিতির খাতায় না কি এ নিয়ম লেখে না, তাই আমাদেরই এ কথা বলতে এখানে আসতে इ'ल to ›ፃS অনাদি বলিল, “নইলে খুব সম্ভবতঃ আপনি ভাবতেন—ভয় পেয়েই আমরা এলুম না।” দলপতি উথলিত নৈরাশু-ক্রোধ সবলে দমন করিয়া যথাসম্ভব ধীরভাবে বলিলেন, “কিন্তু তোমরা জান না বোধ হয় যে, একবার এ চক্রের মধ্যে পী দিলে আর পিছু হটার যে নেই।” বসন্তের মত সাহসী বালকের মুখ ও সহসা পাংশুবর্ণ হইয়া গেল-এ কথা ত তাহাদের মনে হয় নাই ! সে ঢোক গিলিয়া শুষ্ক কণ্ঠ ভিজাইয়া লইয়া কহিল, “কিন্তু আমরা ত চক্রে পা দিই নাই, শপথে নিজেদের বাধি নি এখনও !” দলপতি উত্তেজিত কণ্ঠে উত্তর করিলেন, "যে দিন এই মাতৃ-মন্দিরের সংকল্প শুনে, বুঝে এ দলে মেশবার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছ—সেই দিনই চক্রে প৷ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ অlজ ত আমাদের আডড পৰ্য্যন্ত দেখলে, এখন আর ফেরার পথ নেই ; দলভুক্ত হ’তে হবে—ন হয় দণ্ড গ্রহণ করতে হবে।” দলপতি কটিবন্ধবস্ত্রে হস্তাপণ করিলেন। অনাদি-বসন্ত উভয়েই ইহার অর্থ বুঝিল ; কিন্তু জ্যোতিৰ্ম্ময়ীর শিক্ষাদান নিষ্ফল হয় নাই। পূর্বের ক্ষণিক ভয়-অবসাদ ইতিপূৰ্ব্বেই তাহদের মন হইতে অন্তৰ্হিত হইয়াছিল ; এখন সন্মুখ বিপদে উভয়েরই তেজ শতগুণে বাড়িয়া উঠিল। ব্যায়াম-সমিতির প্রণালী অনুসারে উভয়েই উভয়কে রক্ষণ-সংকল্পে— আক্রান্ত ব্যাঘ্ৰী যেমন শাবককে আশ্রয়দানে শিকারীর সম্মুখে দাড়ায়—সেই রূপ ভাবে দাড়াইল। সশস্ত্র দলপতি এই নিরস্ত্র বালকদিগের শৌর্য্যে এমনি বিস্মিত হইয়া পড়িলেন যে, তাহার নিজের অজ্ঞাতসারে হাত কটিবন্ধ বস্ত্র হইতে নীচে নামিয়া পড়িল । বসন্ত সদৰ্পে কহিল, “প্রাণভন্ন দেখিয়ে আমাদের দলভুক্ত করতে পারবেন না।” অনাদি বলিল, “আর এ কথাটাও মনে রাখবেন যে—আমাদের মেরেও কখনও নিস্তার পাবেন না ; ফলে তাতে আপনার দলের সমূল উচ্ছেদসাধন হবে * “উঃ, এই অপগও বালকদিগের কি প্রতাপ ! বলে ত ইহাদের পাওয়াই যাইবে না, ছলে-কৌশলে কি হয় দেখা যাক ৷” দলপতি নরম মুরে বলিলেন, “খুন করাই ত আমার জীবনের ব্রত নয়, তবে মঙ্গল উদ্দেশুে যদি তা করতে হয়, তাতে আমি পিছপাও নই। আর কারও তা’ হওয়া উচিত না, এই উপদেশই আমি नेि८ब्र षोंकि ॥ cऊtश्वब्रां७ cन*/tनबक, उमjमग्नां७