পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb*8 দেখছি! ঋষিদের অধ্যাত্মিকতা যদি তুমি আবার জাগিয়ে তুলতে পার,—সত্যযুগ ফিরে আসবে।” কৃষ্ণলাল উৎসাহিত হইয়। কহিলেন, “তোমার এ বিষয়ে এমন interest, ভ। আমি জানতুম.না— এত আহলাদ হচ্ছে আমার ! আমি তোমাকে দু'কথায় এর মূল তত্ত্বটা এখনি বুঝিয়ে দিতে পারি – একটা কাগজ পেন্সিল যদি আনতে বল ।” স্বজন রায়ের প্রশংসার পরিণাম এতদূর গড়াইবে, তfহা তিনি বুঝেন নাই। এখন কিরূপে ইহা হইতে নিস্কৃতি লাভ করিবেন ভাবিতেছেন, এমন সময় তাহাকে রক্ষা করিলেন–র্তাহীর ম্যানেজার। তিনি এই সময় আসিয়া উপস্থিত ফইলেন। সুজন রায় অনেকক্ষণ হইতে ইতারই আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন । স্বজন রায় বলিলেন, "দেখ দাদা, পুণ্য কার্য্যে কত বাধা । এস ডিফুজ সাহেব, এদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই।” এই ডিফুজ সাহেব আর কেহু নহেন, শরৎকুমার ও অনাদির ট্রেণের বন্ধু । ডি গ্রুঞ্জ বেশ বাঙ্গল বলেন তিনি বাঙ্গলাতেই ইহণদের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কষ্টিতে লাগিলেন। হেমের নিকট ক্টনি অপরিচিত নহেন, অনেকবার ট্রেণে দেথা শুনা হইয়াছে। সুজন রায় কথা-প্রসঙ্গে বলিলেন, “দেখ দাদী, ইনি এক জন মস্ত ফিলজফার লোক । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সব ফিলজফিই এর কণ্ঠস্ত। তোমার দর্শনতত্ত্ব যদি একে দিয়ে ইংরাজীতে অনুবাদ করিয়ে নিতে পার ও মস্ত একটা কাজ হয় ।” এই বাসনা কৃষ্ণলালের মনেও মাঝে মাঝে উদয় হইয়াছে। সহসা তাহ পূর্ণ হইবার মূৰ্ত্তিম উপায় সম্মুখে উদিত দেখিয়া তিনি আপনাকে ধন্য জ্ঞান করিলেন । ডিফুজ বলিলেন, “আপনার দুজনেই দেখছি born patriot ! q# si-ỉ c#U*ỉ q=#*ltsR cbềi করছেন—আর—এক জন জ্ঞান-বিস্তারের চেষ্টা করছেন। দেশের পক্ষে দুই-ই দরকার। আমার সৌভাগ্য যে, আজ আপনার সঙ্গে পরিচিত হলেম।” আরও দুই একটা এইরূপ মিষ্ট সম্ভাষণ করিবার পর সুজন রায়কে তিনি বলিলেন, “আপনার সঙ্গে একটু কথা আছে, আমায় এখনি আবার একবার ব্যাঙ্কে যেতে হবে।” হেম এই ইঙ্গিত গ্রহণ করিয়া কছিল, "তবে আজ ওঠা বাক মুকুয্যেম’শায় । সন্ধ্য। ত হ’য়ে এল ।” মুকুয্যে-মশাস্তু আলিবার সময় যেরূপ অনিচ্ছার সহিত স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী গাড়ীতে উঠিয়াছিলেন ; যাইবার সময়ও সেইরূপ অনিচ্ছাতে চৌকি হইতে উঠিলেন। স্বজন বলিলেন, “বম্বন না আর একটু ; এপনি যাবেন ?” মুকুঘ্যেম’শায়ের ইচ্ছামত কাজ হুইলে তিনি এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করিতেন ; কিন্তু এই কথা বলিতে বলিতে গৃহস্বামী স্বয়ং উঠিয়া দাড়াইলেন ; হেম, ডিকুজ সবাই উঠিয় দাড়াইল,—স্বতরাং কৃষ্ণলালের মনের ইচ্ছা মনেই রহিয়া গেল। উঠিয়া দাড়াইয়। মুজন রায় কহিলেন, “তুমি তা হ’লে ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর হচ্ছ দাদা ? এতে ক্ষতি কিছুই নেই -শুধু নামটা দেওয়া মাত্র। তা হ’লেই লোকে ব্যাঙ্কের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারবে।” কৃষ্ণলাল উত্তর করিলেন, “অবশ্য অবশু, আমার ত সেটা কৰ্ত্তব্য কাজ।” সুজন কুঞ্চলtলকে গাড়ীতে পৌছিয়া দিবীর সময় নীচে অসিয়া অtবার বলিলেন, “ব্যাঙ্কের কথাটা ভূলো ন দাদ। টাকাকড়ি এই ব্যাঙ্কে রেপে তুমি বেশ নিশ্চিন্ত থাকতে পারবে। রাণীগঞ্জের সম্পত্তি সম্বন্ধে যে প্রস্তাব করেছি, সে বিষয়েও ভেবে চিস্তে একবার দেখো। ছেলেটাকে এই রকম কাজে লাগিয়ে দিযে তপন ঘরে বেী অনব এই মনে ক’রে আছি। ” আশাতীত সফলতা ! হাসিকে বেী করিবেন বলিয়াই সুজন রায় কথা দিলেন । ইহা হইতে স্পষ্ট উক্তি আর কি হইতে পারে । কৰ্ত্ত। বলিলেন, “কবে আসবে ভায় ! তুমি বুঝি হাসিকে দেপ নি ।” “এক দিন অবিলম্বে যাব ; তোমার দর্শনতত্ত্বও সেইদিন শুনব, আজ ত আর ভাগে সে আনন্দলাভ ঘটলো না ।” কৃষ্ণলাল আনন্দে গলিয়া গেলেন-- তাহীদের গাড়ীতে বসাইয়া সুজন শেষে জিজ্ঞাসা করিলেন, "কখন গেলে কথাবাৰ্ত্তার সুবিধা হবে দাদা ?” কৰ্ত্তা বলিলেন, “সকালেই আমি লেখা পড়া করি, দর্শনতত্ত্ব শুনতে চাও ত সেই সময়ই এস।”

  • আর যদি কাজের জন্ত যাই ?” “ত হ’লে বিকালের দিকে আসাই ভাল । হেম আহারান্তে আমার ওখানে আসেন, আজ তোমার কাছে সকালেই আসব ভেবে ধর-পাকড় ক’রে ১১টার মধ্যেই ওঁকে আনিয়েছিলুম—শেষে কিন্তু সকালে আর এখানে আসাই হোল না।”

শেষ কথা শেষ হইতে না হইতে কোচম্যান গাড়ী হাকাইয়া দিল । কৰ্ব বাড়ী ফিরিয়া আসিয়া গৃহিণীকে মুসংবাদ