পাতা:স্বর্ণকুমারী দেবীর নূতন গ্রন্থাবলী.djvu/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وان سونج এখানে আসিয়াছেন, কৰ্ত্তীর মনে তাঙ্গতে সন্দেহ মাত্র ছিল না। হাসি প্রণাম করিয়া উঠিয়া দাড়াইলে—স্বজন রায় কছিলেন,— “বেশ বেশ । বেশ মেয়েটি ! স্তী মা তোমার বাবার সঙ্গে একটু কাজের কথা আছে ” হাসি একটু সলজ্জ হাসি হাসিয়া চলিয়া গেল। চাসির প্রতি এষ্টরূপ সশ্বৰ্দ্ধন কর্তার কিন্তু ভাল লাগিল না ! যদিও তিনি জানিতেন বিবাহের দিন ক্ষণ ঠিক করিবার জন্তই স্বজন রায় এইরূপ ব্যস্তভাবে হাসিকে বিদায় করিলেন, তবুও অরসিকের প্রতি নিবেদনের স্তায়—এই ঘটনায় তিনি ক্ষুণ্ণ হইয়া পড়িলেন। বেশ একটু উত্তেজিত ভাবেই কহিলেন, “এত ব্যস্ত হচ্ছ কেন ? জান ত ভায়া,—আমার ঐ একটি মেয়ে, ছাড়তে মন চায় না। তা—একটু দেরী তোমাকে করতেই হবে ?” স্বজন রায়ের ওষ্ঠাধরে আগত বিন্দ্রপহাস্তকুঞ্চন সরলরেখায় মিলাইয়া পড়িল –তিনি গম্ভীর স্বরে কছিলেন, “হ্যা, দেরী ত হয়েই পড়লো।—শুনেছ ত मांना, আমার ব্যাঙ্ক ফেল হয়েছে ।” "এইমাত্র কাগজে দেখলুম।” স্বজন রায় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “বেণী বিশ্বাস কাউকে করতে নাই দাদা, তা হ’লেই ঠকতে হয়। তোমার যেমন হেম, আমার সেইরূপ ছিল ডিকুজ সাহেব। আমার আহম্বকিরই এই ফলভোগ !” কৃষ্ণলাল বিস্ফারিতনেত্রে কছিলেন, “সত্যি ।” “হ্যা, ঠিক কথাই বলছি দাদা। যা হ’ক তুমি ভয় পেয়ে না,—অামি থাকতে তোমার কোন ক্ষতি হবে না,—সেই কথাই তোমাকে বলতে এসেছি—” কৃষ্ণলাল বলিলেন, “আমার টাকা ত ব্যাঙ্কে দেওয়া হয় নি,—সে কথা বুঝি ডিকুজ তোমাকে বলে নি ? আমার ত ক্ষতির কোনই সম্ভাবনা cनहे ?” “কিন্তু তুমি ষে এক জন ডিরেক্টার,—তারও একটা দায়িত্ব আছে ত ?” কৃষ্ণলালের বুকটা ধড়াস ধডাস করিয়া উঠিল— তিনি তীতচিত্তে কছিলেন, “তোমার কথায় তখন ত বুঝেছিলাম–টাকা-কড়ি সম্বন্ধে আমার দায়িত্ব কিছু থাকবে না ।" “ঠিকই বুঝেছিলে দাদা। নাম থাকবে তোমার श्रीब्र लांब्रिए रुङ्म कब्रर वांभि-दब्रांदब्रहे श्रांगि এই মনে ক’রে আছি ।” কৃষ্ণলাল তাহার সৌজন্ত-সাধুতায় মুগ্ধ হইয়া স্বর্ণকুমারী দেবীর গ্রন্থাবলী কহিলেন, “তোমার কি খুবই ক্ষতি হলো ভায়া ?” “ক্ষতি সবই। ব্যাঙ্কে যে টাকা রেখেছিলুম, সে সবই গেল, তা ছাড়া অন্ত লোকের গচ্ছিত টাকার জন্তেও আমাকে দায়ী হ’তে হচ্ছে।” কৃষ্ণলাল ইহা শুনিয়া আশ্বস্তভাবে কহিলেন, “ত বাইরের লোকের টাকা ত এখানে বেশী নেই শুনেছি! হেম ত বলছিল ব্যাঙ্ক তোমার টাকাতেই চলছে। স্বজন রায় খনখনে হাসি হাসিয়া কহিলেন, “ব্যাঙ্কিং বিজনেস্ যে হেম কত বোঝে—এ কথায় তা বোঝা যাচ্ছে। বাইরের লোকের টাকা বেশী নেই এটা ঠিক, তাড়াতাড়ি টাকা অনেকেই তুলে নিয়েছে—তবুও যে টাকার জন্যে দায়ী আমি-সেও ত নিতান্ত কম নয় !" কৃষ্ণলালের দৃষ্টিতে সহানুভূতি প্রকাশিত হইল । স্বজন আবীর কছিলেন, ”এদানি যেমন ব্যাঙ্কটি জমে আসছিল, অমনি ভিতরে ভিতরে লুঠও চলছিল। আহাক্ষকি দাদা ! চার পে৷ আহাম্মকি আমার ! আমি স্বজন রায় কি না—একটা ফিরিঙ্গি বাচ্ছার লাড, হলুম! তবে আমি কারে টাকা রাখব না—চিরদিনই ধৰ্ম্মের পথ ধ'রে চলেছি—এখনও চলব ।” কৃষ্ণলাল তাহার সাধুতায় মুগ্ধ হইয়। বলিলেন, “थुन्नु !” “কিন্তু সাধুতার কি একালে আদর আছে ভাই ? আজকাল জিনিষ বিকেীয় চটকে,-চকুচকে ঝুটোর দরই বেশী। একটি কথা শুনে বড় আশ্চৰ্য্য হয়েছি ; আমাকে কথা দিয়ে তুমিও নাকি অতুলের কাছে রাণীগঞ্জের সম্পত্তি বিক্রী করছ—তুমিও দাদা কথা ভাঙ্গলে ?” কৃষ্ণলাল আকাশ হইতে পড়িলেন, বলিলেন, “কই আমি ত এর বিন্দু-বিসর্গ কিছুই জানিনে ? এ দেখছি হেমের কাও।” অবিশ্বাসের হাসি হাসিয়া সুজন রায় কছিলেন, "হেম যদি তোমার অমতে এ কাজ ক’রে থাকে ত কাজটা বন্ধ করতে কতক্ষণ ? তুমি না সই করলে ত কাজ হবে না ?” কৃষ্ণলাল মুস্কিলে পড়িলেন। হেমের কর্তৃত্বের উপর যে তিনি হস্তক্ষেপ করিতে অক্ষম, এ কথা বিশ্বাস করিবে কে ? আর বলিবার কথাও ত নয় । তবুও বলিলেন, "আচ্ছা ভাষা, হেমকে জিজ্ঞাসা ক’রে আমি এ বিষয়ে উত্তর দেব। হেমের অমতে